সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের দুর্দিন একসঙ্গে লড়তে হবে। কেউ যাতে কষ্টে না থাকে, নজর রাখতে হবে সেদিকেও। এই শপথ নিয়েই লকডাউনের মধ্যে দিনের পর দিন গরিব-দুস্থদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন খেলার দুনিয়ার তারকারা। কখনও সরকারের দিকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন, তো কখনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সঙ্গে হাত মিলিছে অভুক্তদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন ক্রিকেটার-ফুটবলার-অ্যাথলিটরা। তবে এক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গরিবদের
সাহায্য করলেন ভারতীয় স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদ। প্রায় ৭০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে নিজের গ্রামে পৌঁছে দুস্থদের খাওয়ালেন তিনি।
অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া লকডাউনে যে কোনও সফরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু গ্রামের মানুষগুলো অভুক্ত থাকবে, অথচ ভুবনেশ্বরে তিনি হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন, এমনটা তো সম্ভব নয়। তাই ওড়িশা সরকারের থেকে জজপুর জেলায় নিজের গ্রাম চাকা গোপালপুর যাওয়ার স্পেশ্যাল পাস জোগাড় করে নেন দ্যুতি। ব্যস, তারপর গাড়িতে খাবারের প্যাকেট ভরে সোজা রওনা দেন গ্রামের উদ্দেশে। এমন সংকটের দিনে ঘরের মেয়েকে পাশে পেয়ে আপ্লুত গ্রামবাসী। দ্যুতি বলছেন, “লকডাউনে আমার গ্রামের অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। আমি শুধু ওদের সাহায্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। স্পেশ্যাল পাস নিয়ে গ্রামে পৌঁছে প্রায় এক হাজার মানুষকে খাবারের প্যাকেট বিলি করেছি।”
This car @anandmahindra sir is used for #Covid_19 combat & relief work. Today, I received essential groceries & sanitary from @achyuta_samanta & @dwitivikram & began distributing it in my village.@unwomenindia @KirenRijiju @sports_odisha @IndiaSports @PMOIndia @CMO_Odisha pic.twitter.com/GyCCZltdIr
— Dutee Chand (@DuteeChand) May 9, 2020
গ্রামের বাড়ি আসার খবর আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। তাই তারকা অ্যাথলিট গ্রামে পা রাখতেই তাঁর বাড়ির সামনে চলে আসেন স্থানীয়রা। সেখানেই তাঁদের হাতে প্যাকেট তুলে দেন দ্যুতি। এই মহৎ কাজে সাহায্য করেছেন তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বলে জানান অ্যাথলিট। নিজে ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছেন এবং খাবার কেনার বাকি অর্থ দিয়েছে প্রতিষ্ঠান। আবার গ্রামে গিয়ে দুস্থদের মুখে অন্ন তুলে দিতে চান তিনি। বলছিলেন, “আমার গ্রামে হাজার পাঁচেক লোক রয়েছে। পরের বার ২০০০ প্যাকেট খাবার নিয়ে যাব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.