সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের (Brij Bhushan Sharan Singh) বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, এই কথা জানিয়ে একটি টুইট করেছিল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই উধাও হয়ে যায় এই টুইট। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত কোনও তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না দিল্লি পুলিশের টুইটারে। এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠছে, কেন আচমকা টুইট ডিলিট করেছে পুলিশ? প্রসঙ্গত, বুধবার আচমকাই সংবাদমাধ্যমে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের তদন্ত নিয়ে একাধিক তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। তারপরেই টুইট করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু খানিকক্ষণ পরেই তা ডিলিটও করে দেওয়া হয়।
মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তা করেছেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিং, এই অভিযোগেই দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), বজরং পুনিয়ারা (Bajrang Punia)। কিন্তু বুধবার দুপুরে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যমে। দিল্লি পুলিশের সূত্র উল্লেখ করে সেখানে বলা হয়, ”ব্রিজভূষণকে গ্রেপ্তার করার মতো যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ এখনই আমাদের হাতে নেই। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে আমরা রিপোর্ট পেশ করব। চূড়ান্ত রিপোর্ট বা চার্জশিটের আকারেই এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। তবে কুস্তিগিররা যে দাবি করছেন, সেই দাবির সপক্ষে আমাদের হাতে প্রামাণ্য কোনও তথ্য নেই এই মুহূর্তে।”
তারপরেই অবশ্য দিল্লি পুলিশের তরফে সরকারিভাবে টুইট করা হয়। সেখানে বলা হয়, “বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। এই দাবি একেবারে ভুয়ো। এহেন গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্ত চলছে এবং পুলিশ খুবই গুরুত্ব দিয়ে এই বিষয়টির দিকে নজর রাখছে।”
কিন্তু বুধবার বিকেলেই দেখা যায়, টুইটটি ডিলিট করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সংবাদমাধ্যমের কথাই ঠিক? প্রমাণের অভাবে নির্দোষ ঘোষণা করা হবে ব্রিজভূষণকে? অন্য একাংশের দাবি, বিজেপি সাংসদ হিসাবে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ব্রিজভূষণ। দিল্লি পুলিশের তদন্তকে প্রভাবিত করার ক্ষমতাও রয়েছে তাঁর। তিনিই হয়তো এই টুইট ডিলিট করতে চাপ দিয়েছেন। সবমিলিয়ে, দিল্লি পুলিশের কাছে কুস্তিগিররা আদৌ ন্যায়বিচার পাবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা বেড়েই চলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.