সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি মাসেই শিষ্যা হিমা দাসকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন কোচ নিপন দাস। তাঁর তত্ত্বাবধানেই দেশের প্রথম মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে আন্তর্জাতিক ট্র্যাকে সোনা জিতেছিলেন অসমের মেয়ে। কিন্তু মাস ঘুরতে না ঘুরতেই সেই দক্ষ কোচের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে গুয়াহাটি পুলিশ। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন অন্য এক মহিলা অ্যাথলিট।
ফিনল্যান্ডের ট্যাম্পারে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটার দৌঁড়ে সোনা জেতেন হিমা। শিরোনামে উঠে আসে কোচের নামও। কিন্তু এবার কালিমালিপ্ত হল তাঁর নাম। শনিবার বশিষ্ঠ থানার ডিএসপি নন্দিনী কালিটা বলেন, “আমরা একটি মেডিক্যাল রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি। সেটি এলেই চার্জশিট তৈরি করা হবে।”
গত মাসে সাইয়ের এক মহিলা অ্যাথলিট তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন। অভিযোগ, গত ১৮ মে সারুসাজাই স্পোর্টস কমপ্লেক্সে প্রশিক্ষণের সময় যৌন হেনস্তা করা হয় তাঁকে। তার ভিত্তিতেই কোচকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও গ্রেপ্তারির দিনই তিনি জামিন পেয়ে যান। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিপন চাস। তাঁর বক্তব্য, অভিযোগকারিনী তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছেন। কোচ বলেন, “ও হিমার সাফল্যকে হিংসা করে। হিমার সঙ্গে যেভাবে আমিও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছি, তা একেবারেই ওর সহ্য হচ্ছে না। তাছাড়া ৫৮তম জাতীয় আন্তঃরাজ্য সিনিয়র অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সুযোগ পায়নি। সেই কারণে আরও রাগ। আর সেই জন্যই এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।” নিপন দাস সাফ জানান, যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলে তাহলে তিনি শ্রীঘরে যেতে রাজি। কিন্তু তেমনটা না হলে যেন তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার সব দায় যেন অভিযোগকারিনী নেন।
পুলিশের পাশাপাশি অসম রাজ্য কমিশনও আলাদাভাবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দেখার চেষ্টা করছে। অভিযোগকারিনীর বক্তব্য, প্রথমে ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনতে ভয় পাচ্ছিলেন তিনি। তবে আপাতত তিনি নিজের অনুশীলন নিয়েই ব্যস্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.