Advertisement
Advertisement
Bajrang Punia

মোদির কাছে যেতে বাধা, ফুটপাতে পদ্মশ্রী রেখে এলেন বজরং, সরব প্রিয়াঙ্কা

এভাবে কি পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান করা যায়?

Bajrang Punia denied to meet Prime Minister Narendra Modi and the wrestler left his award to the pavement । Sangbad Pratidin

প্রতিবাদের মুখ যখন বজরং পুনিয়া। -ফাইল চিত্র।

Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:December 23, 2023 12:05 pm
  • Updated:December 23, 2023 12:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধিকি ধিকি করে জ্বলছিল আগুন। মাঝে তা প্রশমিত হয়েছিল বটে। কিন্তু ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের (Brij Bhushan Sharan Singh) বিজনেস পার্টনার সঞ্জয় সিং সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের (Wrestling Federation of India) প্রধান হতেই প্রতিবাদের আগুন আবার জ্বলে উঠল। সঞ্জয় সিং সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান হওয়ার পর বড় সড় ঘোষণা করেছিলেন বজরং পুনিয়া। জানিয়েছিলেন, পদ্মশ্রী পুরস্কার তিনি ফিরিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে।
পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু মোদির বাসভবনের কাছাকাছি পৌঁছনোর পরে তাঁকে বাধা দেয় দিল্লি পুলিশ। প্রতিবাদ স্বরূপ মোদির বাসভবনের কাছের ফুটপাথে পদ্মশ্রী পুরস্কার রেখে চলে আসেন বজরং পুনিয়া।
ক্ষুব্ধ কুস্তিগির বলেন, ”প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন এমন যে কোনও লোকের হাতেই আমি তুলে দিতে পারি পদ্মশ্রী সম্মান।” 

[আরও পড়ুন: সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে মাটি ধরাল বাংলাদেশ, নেপিয়ারে ইতিহাস বাংলার বাঘেদের]

বজরং পুনিয়া আরও বলেন, ”আমি আগেই বলেছিলাম আমাদের ভাই-বোনদের জন্য লড়াই করছি। আমি ওদের সুবিচারের বন্দোবস্ত করতে পারিনি। সেই কারণেই আমার মনে হয়েছে এই পদ্মশ্রী সম্মানে যোগ্য আমি নই। এই সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এখানে এসেছি। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করতে পারিনি। কারণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি আমার ছিল না। উনি ব্যস্ত ছিলেন। সেই কারণেই এই মেডেলের সঙ্গে একটি চিঠিও দিচ্ছি প্রধানমন্ত্রীকে। আমি এই পুরস্কার আর বাড়ি নিয়ে যাব না।”
তবে এভাবে পদ্মশ্রী কি প্রত্যাখ্যান করা সম্ভব? নিয়ম অনুযায়ী, পুরস্কার প্রাপকের নাম সরকারের গেজেট থেকে একমাত্র রাষ্ট্রপতিই বাতিল করতে পারেন। যতক্ষণ না পুরস্কার প্রাপকের নাম সরকারি ভাবে বাতিল করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা সরকারি গেজেটে নথিবদ্ধই থাকবে। 
এদিকে দিন-রাত এক করে কুস্তিগিররা যখন ধর্নায় বসেছিলেন, সেই সময়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গিয়ে দেখা করে এসেছিলেন সাক্ষী মালিকদের সঙ্গে। তাঁদের এই আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। সেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ফের দেখা করেন সাক্ষী মালিকের সঙ্গে। ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সর্বোচ্চ পদে আসীন হওয়ায় কুস্তি ছাড়ার ঘোষণা করেন সাক্ষী মালিক। সাক্ষীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, তিনি একজন মহিলা হিসেবেই সাক্ষাৎ করতে এসেছেন সাক্ষীর সঙ্গে। এই মেয়েগুলোর সঙ্গে যা হচ্ছে তা তাঁর বিরক্তির অতীত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গোল করতে না পারলেও, পরপর চার ম্যাচে ক্লিনশিট! ওড়িশার বিরুদ্ধে ড্র করল ইস্টবেঙ্গল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement