সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০৩৬ সালে অলিম্পিক আয়োজনে মরিয়া ভারত। এদেশে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে (IOC) আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা। আর তারপর থেকেই জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। ভারতে সত্যিই অলিম্পিকের আসর বসলে তার প্রাণকেন্দ্র হতে চলেছে আহমেদাবাদ। তবে শুধু গুজরাট নয়, একাধিক শহরে ইভেন্ট আয়োজনের ভাবনাচিন্তা রয়েছে কেন্দ্রের। এক্ষেত্রে শিকে ছিঁড়বে কলকাতার?
অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথমবার এই মেগা ইভেন্ট পেতে বিড করেছে ভারত। সব ঠিকঠাক থাকলে, ১১ বছর পর এদেশের মাটিতেই বসবে অলিম্পিকের আসর। এর আগে ২০১০ সালে শেষবার কমনওয়েল্থ গেমসের মতো বড় টুর্নামেন্টের আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। শোনা যাচ্ছে, তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে আহমেদাবাদ। এখানেই হতে পারে গেমস ভিলেজ। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ ইন্ডোর ইভেন্টও এ শহরের স্টেডিয়ামেই আয়োজিত হতে পারে। স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো উন্নততর করার দিকে জোর দিচ্ছে অন্যান্য শহরও। ওড়িশায় যেমন হতে পারে হকি ইভেন্ট। রোয়িংয়ের আসর বসতে পারে ভোপালে। আবার পুণে পেতে পারে ক্যানোয়িং এবং কায়াকি আয়োজনের দায়িত্ব।
ক্রিকেট, কুস্তি এবং ব্যাডমিন্টনের ভেন্যু নিয়েও আলোচনা চালাচ্ছে ক্রীড়ামন্ত্রক। জানা গিয়েছে, ক্রিকেট হওয়ার সম্ভাবনা দিল্লি, মুম্বই এবং আহমেদাবাদের স্টেডিয়ামে। যদিও বাকি ইভেন্ট নিয়ে এখনও কথাবার্তা হয়নি। তবে এখনও পর্যন্ত যা ছবি, তাতে কলকাতা যে অলিম্পিকের স্বাদ থেকে বঞ্চিতই হতে চলেছে, তেমন ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। অথচ যুবভারতীতেই ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ সফল ভাবে আয়োজিত হয়েছিল। ‘অন্ধকারে’ রয়ে যেতে পারে ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেনও। তবে হাতে বাকি অনেকগুলো বছর। তার মধ্যে ছবিটা পালটায় কি না, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.