সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বায়ার্নের অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়তো যে কোনও ফুটবলারেরই স্বপ্ন৷ কিন্তু ক’জনের ক্ষেত্রেই বা তা সত্যি হয়ে ওঠে! তবে এক খুদে ফুটবলার নিজের দক্ষতায় তা সত্যি করে তুলল৷ ওড়িশার বস্তি থেকে সে পাড়ি দিল বায়ার্নে৷
ভুবনেশ্বরের শবর সাহি বস্তিতে বাস ১১ বছরের চন্দন নায়েকের৷ ছোটবেলা থেকেই সে ফুটবল পাগল৷ বাবা সংসার ছেড়ে দিয়েছিল আগেই৷ আর্থিক অবস্থা সামাল দিতে মাকে বাড়ি বাড়ি কাজ করতে হয়৷ কিন্তু নিদারুণ দারিদ্রের মধ্যেও ফুটবল থেকে পা তুলে নেয়নি সে৷ কোচ জয়দেব মহাপাত্রর চোখে পড়েছিল ছেলেটির মধ্যে আছে দুরন্ত ফুটবল প্রতিভা৷ ফুটবলের প্রতি ভালবাসাও চূড়ান্ত৷ তিনিই টানা তিন বছর ধরে প্রশিক্ষণ দেন চন্দনকে৷ ছোটখাটো ভুল ত্রুটি শুধরে দিতেই আরও ক্ষুরধার হয় তার খেলা৷ এর ফলশ্রুতিই বায়ান মিউনিখের প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাওয়া৷
অবশ্য এমনি এমনি এ সুযোগ পায়নি চন্দন৷ পুণে গিয়ে তাকে নির্বাচকদের সামনে রীতিমতো পরীক্ষা দিয়েই এ সুযোগ ছিনিয়ে নিতে হয়৷ সুনীল ছেত্রী ছিলেন প্রধান নির্বাচক৷ কিশোর চন্দনের ফুটবল প্রতিভা দেখে তিনিও বিস্মিত৷ তারপরই তাঁকে বায়ার্নে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ আপাতত দু’মাসের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেবে সে৷ তার পারফরম্যান্সের উপরই ভিত্তি করবে, আরও কতদিন সেখানে থাকতে পারবে চন্দন৷ তার মতো প্রতিভা যাতে এ সুযোগ পায় তাই সরকারও তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে৷ দরিদ্র পরিবারের চন্দনের বিদেশে যাওয়ার মতো কোনও কাগজপত্র ছিল না, এমনকী বার্থ সার্টিফিকেটও ছিল না৷ সরকারি উদ্যোগেই দ্রুত তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়৷
বায়ার্ন মিউনিখ কত বড় ক্লাব, কী তার ইতিহাস জানে না ছোট্ট চন্দন৷ আদ্যন্তে মেসির ভক্ত সে, চায় বড় ফুটবলার হতে৷ সামনে একটাই সুযোগ৷ সেখানেই তার স্বপ্নপূরণের চাবিকাঠি, জীবনে উত্তরণের সোপান৷ আর তাই এ সুযোগ যে কোনওভাবে হাতছাড়া করা যাবে না তা সে খুব ভালই৷ বায়ার্নের মাঠে নিজের ফুটবল দক্ষতা তুলে ধরতে তাই বদ্ধপরিকর বছর এগারোর ছেলেটি৷
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.