সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোকার্স বদনাম আর ঘুচল না দক্ষিণ আফ্রিকার। ইডেন যুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার মেনে মেগাটুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হল প্রোটিয়া-ব্রিগেডকে। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার এই দুর্ভাগ্য। বড় টুর্নামেন্ট এলেই সিস্টেম ফেইলিওর হয়। সেই পরম্পরা আজও চলছে। ইডেনে এসেও বদলানো ছবিটা।
২০২৩ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছয়। কিন্তু সেমিফাইনালে থেমে যায় রথের চাকা। ইডেনের আকাশ বৃহস্পতিবার ছিল মেঘলা। মেঘলা আবহাওয়ায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাট নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে ফিরল।
মেঘলা আবহাওয়ায় অজি বোলাররা রক্তের স্বাদ পেয়ে যান। শুরু থেকেই বিষ ঢালতে শুরু করে দেন স্টার্করা। তাঁদের ছোবলে শুরু থেকেই উইকেট পড়ল প্রোটিয়া শিবিরে। একমাত্র ডেভিড মিলার ছাড়া কেউই অজি আক্রমণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারলেন না। বাকিরা এলেন আর গেলেন।
মেঘলা আবহাওয়ার পুরোদস্তুর সুযোগ নিলেন অজি বোলাররা। হাতে রানের পুঁজিও বেশি ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। ২১২ রানের পুঁজি নিয়ে জিততে হলে শুরু থেকেই কামড় দিতে হত প্রোটিয়া বোলারদের। সেটাও করেছিল তারা।
কিন্তু ক্যাচ পড়ল একাধিক। ক্যাচ পড়া দেখে স্টিভ ওয়ার বিখ্যাত সেই মন্তব্য মনে পড়তে বাধ্য। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে এরকমই অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ চলাকালীন হার্শেল গিবসকে রসিকতা করে বলেছিলেন, ‘মেট ইউ হ্যাভ ড্রপড দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ।’
এদিন ইডেনেও ফিল্ডিং উচ্চমার্গের হল না প্রোটিয়াদের। কুইন্টন ডি কক একাধিক ক্যাচ ফেললেন। ক্যাচগুলো ধরতে পারলে কী হত, তা বলা কঠিন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা যে আরও চেপে ধরতে পারত অজিদের সেটা বলাই বাহুল্য। দীর্ঘ নির্বাসন কাটিয়ে এই ইডেন থেকেই শুরু হয়েছিল প্রোটিয়াদের যাত্রা। আজকের ইডেনে নতুন এক রূপকথা লিখতেই পারত প্রোটিয়া ব্রিগেড। আজ জিতলে চোকার্স বদনাম ঘুচত। কিন্তু তা আর হল না। এবারও বাভুমাদের মাথা নিচু করেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.