সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল জাতীয় স্তরের সাঁতারু তনুকা ধাড়ার৷ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলার প্রতিভাবান এই সাঁতারুর দেহ মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷
পশ্চিম রেলে কর্মরত তনুকার মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের৷ মুম্বই পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, তনুকার মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি খুন করা হয়েছে সে বিষয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে৷ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ রিপোর্ট পাওয়া না পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয়৷
হুগলির রঘুনাথপুরের মেয়ে তনুকা মাত্র ২২ বছর বয়সে সাঁতার ও জিমন্যাস্টে সাফল্য পেয়েছিলেন৷ জাতীয় স্তরে বিভিন্ন সাঁতার প্রতিযোগিতায় তিনটি জাতীয় পদক জিতলেও তনুকা খেলার জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন জিমন্যাস্ট হিসাবে৷ যথেষ্ট খ্যাতিও পেয়েছিলেন৷ কিন্তু আচমকা তাঁর পায়ের হাড় ভেঙে যায়৷ তারপর দীর্ঘদিন খেলা থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল তাঁকে৷ কিন্তু খেলাধুলার প্রতি তাঁর টান দেখে কোচের উপদেশে সাঁতার বেছে নেন৷ রঘুনাথপুর থেকে রোজ কলেজ স্কোয়ারে এসে সাঁতার প্র্যাকটিস করতেন৷ সমান তালে চলত লেখাপড়াও৷ সাঁতারে জাতীয় পদক পাওয়ার পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি৷ খেলার সূত্রে রেলের চাকরি পান৷ সেই সুবাদে মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন৷ জিমন্যাস্টিক, সাঁতার ছাড়াও দুর্গম পাহাড়ে চড়ার নেশাও ছিল৷
মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বৃহস্পতিবারই মুম্বই পৌঁছে যান তনুকার বাবা-মা৷ তনুকার আকস্মিক মৃত্যুসংবাদে স্বাভাবিকভাবেই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন বালি, উত্তরপাড়া, রঘুনাথপুরের মানুষ৷ তনুকা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ সূত্রের খবর, তাঁর অফিস ও খেলার জগতের বন্ধুদের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে৷ তনুকার মৃত্যুর পিছনে প্রেমঘটিত কারণ থাকতেও পারে বলে পুলিশের সন্দেহ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.