স্টাফ রিপোর্টার: কলঙ্কমুক্ত হয়ে গেলেন সুব্রত পাল। বুধবার নাডার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, সুব্রত যে নিষিদ্ধ ওষুধ টার্বুটালিন খেয়েছিলেন তাতে তাঁর কোনও হাত ছিল না। সম্পূর্ণ দোষী টিম ডাক্তার শ্রীজিত কামাল। ফুটবল ফেডারেশনকে তাই নাডা সতর্ক করে দিয়েছে, শ্রীজিতের ব্যাপারে যেন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ফলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে অনূর্ধ-২৩ দল যাচ্ছে দু’টো ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে। সেই দলে যাওয়ার কথা শ্রীজিতেরও। তাহলে কি সেই দলের সঙ্গে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন শ্রীজিত?
[লঙ্কাবধ করে বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ জয় মিতালিদের]
গত ২৫ এপ্রিল নাডা জানিয়ে ছিল, ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছেন সুব্রত। তিনি ওয়াডার নিষিদ্ধ ওষুধ টার্বুটালিন খেয়েছেন। যা সম্পূর্ন আইন বিরোধী। তখন সুব্রত স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন, এই ওষুধ নেওয়ার জন্য তিনি আদৌ দায়ী নন। যা নিয়েছেন তা টিম ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই নিয়েছেন। এমন কী নাডার কাছে দাখিল করা যাবতীয় রিপোর্টে সুব্রত তুলে ধরেছিলেন ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনও। যেখানে দেখা গিয়েছে সুব্রতকে টার্বুটালিন খাওয়ার জন্য শ্রীজিত পরামর্শ দিয়েছেন। তাই ওয়াডার নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয়বার ডোপ টেস্ট দিতে হয় দোষী অ্যাথলিটকে। যদি কোনও ফুটবলার দ্বিতীয়বার ডোপ টেস্টে না বসেন এবং পরে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তাঁর খেলোয়াড় জীবন মোটামুটি ইতি ঘটে যায়। সোদপুরের মিষ্টু সেই ঝুঁকি নিতেও দ্বিধা করেননি। পরে নাডায় আরবিট্রেশনে মুখোমুখি হয়েছিলেন। ২৩ মে আরবিট্রেশনের পর নিজেই জানিয়ে দেন আগামী ছ’মাসের জন্য নির্বাসনে থাকবেন। বুধবার থেকে সেই স্বেচ্ছা নির্বাসন তাঁর জীবন থেকে উঠে গেল। এবার থেকে তিনি মুক্ত হয়ে গেলেন। আই লিগ বা আইএসএল-এর যে কোনও দল এবার তাঁকে সই করাতে পারে।
[২০২১ পর্যন্ত বার্সেলোনাতেই থাকবেন লিওনেল মেসি]
এখবর জানিয়ে ফেডারেশনের এককর্তা বলছিলেন, “নাডা আমাদের জানিয়ে দিয়েছে সুব্রতর ওপর আর কোনও নিষেধাজ্ঞা রইল না। তিনি যে টার্বুটালিন ইচ্ছাকৃত গ্রহণ করেননি তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তাই নাডা জানিয়ে দিয়েছে এবার থেকে তিনি পুরোপুরি মুক্ত।” সুনীল ছেত্রীর পর ভারতীয় ফুটবলে জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে ছিলেন সুব্রত। এখন অবশ্য জাতীয় দলে থাকলেও খেলার তেমন সুযোগ পান না। গুরপ্রিত এখন ভারতীয় জাতীয় দলের এক নম্বর গোলকিপার। তবু সুব্রতর জনপ্রিয়তায় কোনও ভাটা পড়েনি। তবে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সুব্রতকে পাওয়া যায়নি। এমন কী সুব্রতর স্যার তথা শ্বশুর গোলকিপার কোচ দেবাশিস বন্দে্যাপাধ্যায়ের ফোন বেজে গেলেও তিনি ধরেননি। তবে এই খবরে বাংলার ফুটবল মহল খুশি। বিশেষ করে প্রমাণ হয়ে গেল সারা জীবন মাথা উঁচু করে চলা সুব্রতর খেলোয়াড় জীবন কলঙ্কিত অধ্যায়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.