সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে একের পর এক সাফল্য দেখেছেন। একমাত্র ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে ৫০ ওভার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতিয়েছেন দেশকে। বাইশ গজের কেরিয়ারে সেভাবে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে। কিন্তু ২০১৩ আইপিএল-এ গড়াপেটার ছায়া পড়ার পর একগুচ্ছ প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। প্রশ্ন উঠেছিল, কেন তৎকালীন বিসিসিআই সভাপতি নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মিয়াপ্পনকে কলঙ্কের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন ধোনি? শ্রীনিবাসনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও নানা ধোঁয়াশা দেখা দেয়। অবশেষে সামনে এল বেশ কিছু তথ্য।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে প্রখ্যাত সাংবাদিক রাজদীপ সারদেশাইয়ের বই ‘ডেমোক্রেসি ইলেভেন’। সেখানেই ক্যাপ্টেন কুল গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। শ্রীনিবাসনের কোম্পানি ইন্ডিয়া সিমেন্টস-এর সহ-সভাপতি পদে ছিলেন মাহি। আবার আইপিএল-এ শ্রীনিবাসনেরই দল চেন্নাই সুপার কিংসের নেতাও তিনি। ফলে ক্রিকেটার হিসেবে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্নে জড়িয়েছিল ধোনির নামও। পাশাপাশি শোনা গিয়েছিল, শ্রীনি-জামাই মিয়াপ্পনকেও গড়াপেটায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন ধোনি। মিয়াপ্পন সিএসকে ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকা সত্ত্বেও তাঁকে নাকি শুধুমাত্র ‘ক্রিকেট অনুরাগী’ বলেছিলেন ধোনি। তবে সে অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তিনি। বলছেন, “এটা একেবারেই মিথ্যে কথা। তদন্তকারী প্যানেলকেও জানিয়েছিলাম যে আমি কখনওই মিয়াপ্পনকে অনুরাগী বলিনি। আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম খেলার মাঠের কোনও সিদ্ধান্তে মিয়াপ্পন ঢুকতেন না। আর পাঁচজন আমার সঙ্গে শ্রীনির সম্পর্ক নিয়ে কী ভাবেন, সত্যিই তা নিয়ে
মাথা ঘামাই না। তবে এটুকু বলতে পারি, শ্রীনিবাসন চিরকাল ক্রিকেটারদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতেন।”
এদিকে শ্রীনিও স্বীকার করেছেন, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খারাপ পারফরম্যান্স সত্ত্বেও ধোনির থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নিতে চাননি। কারণ বিশ্বজয়ী নেতাকে নিয়ে এত হটকারী সিদ্ধান্ত তিনি নিতে চাননি। অর্থাৎ শ্রীনি-ধোনি সম্পর্ক যে আদ্যন্ত মধুর ছিল, তা আরও একবার স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.