সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১১৫ বলে ১৭১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। আর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সহ অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের এই ইনিংসের সৌজন্যেই সেমিফাইনালে টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ধরাশায়ী গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ৩৬ রানে অজিদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট অর্জন করেছেন মিতালি রাজরা। আর হরমনপ্রীতের এই ইনিংসে পরই গোটা দেশ তাঁর প্রশংসায় মুখর। মা-বাবা থেকে শুরু আত্মীয়-পরিজন সবাই পরিবারের মেয়ের জন্য উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতেই মোগাতে হরমনপ্রীতের বাড়িতে ভিড় করেন বন্ধু এবং সমর্থকরা।
এক সাক্ষাৎকারে হরমনপ্রীতের মা সতবিন্দর কৌর বলেন, ‘আমার মেয়ে যা করে দেখিয়েছে, দেশের প্রত্যেকটি মেয়েকে সেটা উৎসাহ জোগাবে। গর্ভস্থ কন্যাভ্রূণ নষ্ট করা কখনওই উচিত নয়। মেয়েদের সমান অধিকার দিতে হবে। ওর বয়সি মেয়েদের তুলনায় হরমনপ্রীত অনেকটাই আলাদা। সবাই যখন মজা করতে ব্যস্ত, তখন ও অনুশীলনের মধ্যেই থাকে। এমনকী বাড়িতে থাকলেও অনুশীলন ছাড়া অন্য কিছুই করে না হরমনপ্রীত।’ বাবা হরমিন্দর সিং বলেন, ‘আমরা চাই মেয়ে যেন আরও সাফল্য পায়। ও যেন বিশ্বকাপ জিতে দেশকে গর্বিত করে।’ তবে হরমনপ্রীতের এই ইনিংসের পর সবথেকে বেশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করন তাঁর বোন হেমজিত কৌর। বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলত হরমনপ্রীত। ওর রানের খিদে প্রচুর। আর সেটা ওর ব্যাটিং দেখলেই বোঝা যায়। হরমন মাঠের মধ্যে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির মতোই আগ্রাসী। আবার মাঠের বাইরে ততটাই শান্ত। প্রথম দিন থেকেই বীরেন্দ্র শেহবাগকে নিজের আইডল মনে করে হরমনপ্রীত। আর ওর ব্যাটিং ও তাই শেহবাগের মতোই বিধ্বংসী।’
এদিন ম্যাচে থাবা বসিয়েছিল বৃষ্টি। হেমজিতের আক্ষেপ বৃষ্টি না হলে হয়ত দ্বি-শতরানও করে ফেলতেন হরমনপ্রীত। তবে তাঁর ইনিংসটি ১৯৮৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে কপিল দেবের ১৭৫ রানের ইনিংসের সঙ্গে তুলনা করায় খুশি হেমজিত। বলেন, ‘যদি কপিলদেবের ইনিংসের সঙ্গে হরমনের ইনিংসটির তুলনা করা হয়, তাহলে তার থেকে বড় কোনও প্রাপ্তি হতে পারে না।’ এর সঙ্গেই যোগ করেন, ‘আমরা সবাই গর্বিত। গোটা দেশ হরমনপ্রীতের জন্য গর্বিত। বাবাই ওর প্রথম কোচ। তিনি নিজেও দুর্দান্ত ক্রিকেটার ছিলেন। কিন্তু কোনও কারণে বেশিদূর এগোতে পারেননি। যদিও হরমনপ্রীতের এই সাফল্য বাবার স্বপ্নকেই সফল করেছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.