বেঙ্গালুরু এফসি- ২ (সন্দেশ ঝিঙ্গন, সুনীল ছেত্রী)
মোহনবাগান- ১ (কাটসুমি পেনাল্টি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে অচেনা লড়াই ছিল সঞ্জয় সেনের। কিন্তু বাগান কোচের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে বেঙ্গালুরুতে কুপোকাত হয়ে গেল মোহনবাগান। আই লিগে পরপর ম্যাচে ব্যর্থতা ঢাকতে এএফসি কাপের ম্যাচকে ঢাল করেছিলেন সঞ্জয় সেন। কিন্তু ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত রাখলেন বাগানের ফুটবলাররা। এএফসির মূলপর্বে মঙ্গলবার শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসির কাছে ২-১ গোলে হেরে গেল মোহনবাগান। ব্যর্থতার সাগরে সলিলসমাধি হল পাল তোলা নৌকার। আর গ্রুপপর্বে শুরুতেই হোঁচট খেয়ে চাপ বাড়ল বাগানের। গ্রুপে এখনও মাজিয়া আরসি, ঢাকা আবাহনীর মতো বাঘা বাঘা টিম রয়েছে। দেশের ক্লাবের কাছেই প্রথম ম্যাচে হার। কোচ-কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রকট হল বলে। এদিন পেনাল্টি থেকে প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় বাগানই। বিরতিতে ১-০ স্কোর ছিল বাগানের পক্ষে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় বাগান। ছয় মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুটি গোল হজম করে সবুজ-মেরুন শিবির। তারপর তিরিশ মিনিট দৌড়াদৌড়ি করেও গোলশোধ করতে পারেননি সোনি-জেজেরা। ফলাফল, বাগানের হার।
এদিন প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে সোনিকে ট্যাকল করে ফেলে দেন বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গন। পেনাল্টি পায় বাগান। সেখান থেকে গোল করে যান কাটসুমি ইউসা। গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যের হাত ছুঁয়ে বল জড়িয়ে যায় জালে। এতদূর পর্যন্ত ঠিকই ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু বাদ সাধল দ্বিতীয়ার্ধে। বিরতির পরই গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরু। ফলস্বরূপ ৫১ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে গোল পান বেঙ্গালুরুর সন্দেশ ঝিঙ্গন। বিশ্রী ফাউল করে পেনাল্টি দেওয়ার পাপস্খলন করেন তিনি গোলশোধ করে। তার ঠিক ছ’মিনিট পর আবার গোল বেঙ্গালুরুর। অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী অসাধারণ ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন। তখন কার্যত দর্শকের ভূমিকায় বাগান গোলকিপার শিল্টন পাল। দেবজিতকে না খেলালে বাগানের কপাল অশেষ দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে তা এদিন শিল্টনের খেলা দেখেই পরিষ্কার। দুটি গোলের ক্ষেত্রেই কিছুই করতে পারলেন না তিনি। তারপর বাকি ৩৩ মিনিট বহু ছোটাছুটি, বহু চেষ্টা করেও গোলশোধ করতে পারেননি সোনি-জেজেরা। দিন দিন সোনির খেলা দেখে মনে হচ্ছে, কোথাও একটা হারিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বাগান সমর্থকরা তাঁর থেকে ব্যারেটোর মতো খেলা আশা করেন। সামনে থেকে ফরোয়ার্ড লাইনকে নেতৃত্ব দেবেন, এমনটাই চান ভক্তরা। কিন্তু আর যাই হোক এই পারফরম্যান্স নিয়ে ব্যারেটো হতে পারবেন না তিনি। আর বাগানের এমন হতশ্রী খেলা দেখে সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে উত্তেজিত হওয়া ছাড়া আর বিশেষ কিছু করার ছিল না কোচ সঞ্জয় সেনের। আরও একটা ম্যাচ শেষ। আবারও একরাশ ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়লেন বাগান ফুটবলাররা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.