মোহনবাগান–১ হায়দরাবাদ–০
(হুগো বুমো)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাতায়-কলমে হায়দরাবাদের (Hyderabad) বিরুদ্ধে ম্যাচটা মোহনবাগানের (Mohun Bagan) জন্য কঠিনই ছিল। চোট আঘাতের সমস্যা ছিল জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) দলে। এসিএলে চোট নিয়ে ছিটকে গিয়েছেন মিডফিল্ডার জনি কাউকো। সব সমস্যাকে দূরে সরিয়ে রেখে মোহনবাগান মাস্টারস্ট্রোক দিল শনিবার। ৯০ মিনিটের দারুণ লড়াইয়ের শেষে সবুজ-মেরুন শিবির ১-০ গোলে হারাল হায়দরাবাদকে। ১১ মিনিটে গোল করেন হুগো বুমোস। তার পরে একাধিক বার হায়দরাবাদের গোলমুখ খুললেও গোলের সংখ্যা আর বাড়েনি। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচটা ফেরান্দো জিতলেন কিন্তু চোট পেলেন মনবীর। তাঁর চোট চিন্তা বাড়াতে পারে ফেরান্দোর।
আগের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সের কাছে হার মেনেছিল হায়দরাবাদ। অন্যদিকে গোয়ার কাছে পরাস্ত হয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু সেই হার ভুলে এদিন নামে সবুজ-মেরুন। জয়ের জন্য মরিয়া ছিল ফেরান্দো-ব্রিগেড। প্রথমার্ধের শুরুর দিকেই গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। বাঁ দিক থেকে কে আশিক গতির ঝড় তুলে হায়দরাবাদ ডিফেন্স ভাঙেন। তাঁর কাছ থেকে বল পেয়ে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন হুগো বুমো। বুমো যখন বলটি পান তখন তিনি অরক্ষিত। পিছন থেকে ছুটে এসেছিলেন। তাঁকে মার্কিং করেননি কোনও হায়দরাবাদের খেলোয়াড়। গোল পাওয়ার পরে একাধিকবার হায়দরাবাদের রক্ষণে আক্রমণ তুলে আনেন ফেরান্দোর ছেলেরা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। লিস্টন কোলাসো দ্বিতীয়ার্ধে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। অতিরিক্ত বল পায়ে রাখার প্রবণতার জন্য অনেক আক্রমণ অঙ্কুরেই নষ্ট হয়।
চোটের জন্য এদিন খেলেননি দিমিত্রস। তাঁর অভাব কিছুটা হলেও অনুভূত হয়েছে। যেহেতু দুটো দল আগের ম্যাচে হার মেনেছিল। তাই ম্যাচ জেতার তাগিদ ছিল দু’ দলের মধ্যেই। চোরাগোপ্তা ফাউল, গা জোয়ারি ফুটবলের দিকে একসময়ে ঝুঁকে পড়ে হায়দরাবাদ। একসময়ে তো দু’ দলের ফুটবলারদের মধ্যে হাতহাতিও লেগে যায়। খেলার একেবারে শেষ লগ্নে পেনাল্টির আবেদন করেন হায়দরাবাদের ফুটবলাররা। কিন্তু রেফারি সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি। খেলার শেষে ফেরান্দো ও হায়দরাবাদ কোচ মার্কেজের মধ্যে তর্কাতর্কি লেগে যায়।
চোটের লাল চোখ দেখা মোহনবাগান জয়ের রাস্তায় ফিরল আবার। এই জয়ের জন্য কতটা মুখিয়ে ছিলেন খেলোয়াড়রা, তা বোঝা যায় শেষ বাঁশির পরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.