স্টাফ রিপোর্টার: বেতন কবে? জানতে চেয়ে কোচ শংকরলাল চক্রবর্তীকে ঘেরাও করলেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। চেতলা অগ্রণীর সুইমিংপুলে ফুটলারদের প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করেছিলেন কোচ শংকরলাল। কিন্তু পুল সেশন শেষ করেই কোচকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে দাঁড়াতে হয়।বকেয়া বেতনের দাবিতে ফুটবলাররা ঘিরে ধরলেন তাঁকে। তার আগে অবশ্য নিজেদের মধ্যে মিটিং হয়। সেখানেই ঠিক হয়, কোচকে জানানো হবে ব্যাপারটা। ক্লাবের তরফে কোনও শীর্ষকর্তা ফুটবলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। যাঁর সঙ্গে ফুটবলারদের সামান্য যোগাযোগ, সেই ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় এশিয়াডের জন্য জাকার্তাতে। তাহলে সমস্যাটা কাকে বলবেন?
১১ জুন থেকে এই মরশুমের প্র্যাকটিস শুরু হওয়ার পর ক্লাবের তরফে চিঠি পান ফুটবলারদের সঙ্গে কোচ, সহকারি কোচরাও। চিঠিতে লেখা ছিল, একমাসের বেতন আত্মত্যাগ করতে হবে। শুরুতে রাজি না হলেও ক্লাবের আর্থিক দূরবস্থার কথা ভেবে তা মেনে নেন কোচ-ফুটবলাররা। কিন্তু জুলাই ঘুরে আগস্ট শেষ হতে চলল। তবু জুলাইয়ের বেতন মিলল না। যে ফুটবলাররা চুক্তিমতো ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে আছেন, তাঁরা ফ্ল্যাটের ভাড়া, ইলেকট্রিক বিল, গাড়ির তেলের খরচ চালাবেন কী করে? ভাড়া মেটাতে ফ্ল্যাট মালিকরা চাপ দিচ্ছেন। সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় জানতে শংকরলালের শরণাপন্ন হন ফুটবলাররা। কিন্তু তিনি কী করবেন? ফুটবলারদের মতো তিনিও তো বেতনহীন। সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়ানো ফুটবল সচিবের প্রতিনিধিকে বলেন, সচিব অঞ্জন মিত্রকে ফোন করে ফুটবলারদের সমস্যার কথা বলুন।
ফুটবলারদের বক্তব্য, “ক্লাবের সমস্যার কথা ভেবে এক মাসের বেতন আত্মত্যাগ করেছি। কিন্তু জুলাই মাসের বেতন এখনও দেওয়া হবে না কেন? সচিবের সঙ্গে আলোচনা হওয়া জরুরি। ফুটবলারদের দাবি মতো অঞ্জন মিত্রকে ফোনে সব কিছু জানান ফুটবল সচিবের প্রতিনিধি। অঞ্জন বাবু জানান, কোচ- ফুটবলারদের সঙ্গে বুধবার বিকেলে তিনি আলোচনায় বসবেন। প্রথমে ঠিক ছিল, ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশের বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য সকালে প্র্যাকটিস করাবেন শংকরলাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অঞ্জন মিত্রর সঙ্গে আলোচনার কথা মাথায় রেখে বিকেলে নিজেদের মাঠে প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা হয়। এই অবস্থায় ভাল খেলার জন্য নিজেদের মোটিভেট করা কি সম্ভব! শঙ্করলাল বললেন, “আমার কাজ কোচিং করানো। বেতন দেওয়া নয়। এটা ক্লাবের সমস্যা। ক্লাব দেখছে। তবে এটাও ঠিক বেতন না পেলে এখন সমস্যা না হলেও ভবিষ্যতের হতেই পারে।”এদিকে মোহনবাগান-এরিয়ান ম্যাচের দিন বদলে গেল। ৩০ আগস্টের পরিবর্তে তা একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে। আর মোহনবাগান মাঠের পরিবর্তে ম্যাচ হবে কল্যাণী স্টেডিয়ামে।
ডামাডোল অবশ্য চলছে ইস্টবেঙ্গলেও। লাল-হলুদ জার্সি আর পরা হচ্ছে না নাইজেরিয়ান তারকা ফুটবলার মহম্মদ গাম্বোর। ভিসা সমস্যায় আটকে গিয়েছেন তিনি। সমস্যা এতটাই যে, গাম্বোকে নিয়ে জট কবে খুলবে ঠিক নেই। তাই কোয়েস এবং ক্লাব কর্তারা এদিন আলোচনায় বসে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করেন, গাম্বোকে আর আনা হবে না। সেই জায়গায় দ্রুত অন্য বিদেশী খুঁজে নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.