স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা ডার্বির উত্তাপ পৌঁছে গেল বিলেতেও! লন্ডনের শহরতলি ক্লাও অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাঠ। গ্যালারিতে জনা পাঁচশোর ভিড়। পেশাদার ফুটবলারদের বদলে প্রিয় ক্লাবের জার্সি গায়ে ডার্বি খেললেন কট্টর ভক্তরা। কিন্তু সেই চেনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁঝই থেকেই গেল। উদ্যোক্তা ইন্ডিয়ান ফ্যানস অ্যাসোসিয়েশন।
[ মুসলিম বলে হেনস্তা, অপমানে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় ওজিলের]
মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের তিনটে করে ফ্যান ক্লাবের দল নিয়ে তৈরি হয় টুর্নামেন্টের ফরম্যাট। প্রয়াত ফুটবলারদের শ্রদ্ধা জানাতে মোহনবাগানের তিনটে দল নাম দেওয়া হয় শিবদাস ভাদুড়ী, শৈলেন মান্না ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের নামে। আর ইস্টবেঙ্গলের তিনটে দল ছিল আহমেদ খান, কৃশানু দে ও ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রের নামাঙ্কিত। সিক্স আ সাইড ম্যাচে আবার নিয়ম ছিল, প্রতিটা দলে একজন তরুণ ফুটবলারকে খেলাতেই হবে। তার বয়স হতে হবে এগারো থেকে ষোলোর মধ্যে। রাখতে হবে একজন বিদেশিকেও। অভিনব এই ফুটবল টুর্নামেন্টকে অনুমোদন দিয়েছিল এফএ। রেফারি নির্বাচন করেছিল ইংল্যান্ডের ফুটবল সংস্থাই। পাঁচ মিনিটের দুটি হাফ। ম্যাচ দশ মিনিটের। রাউন্ড রবিনে ইস্টবেঙ্গলের তিনটে দল খেলে মোহনবাগানের তিনটে দলের বিরুদ্ধে। তারপর যে দুটো দলের পয়েন্ট সবচেয়ে বেশি ছিল তারাই ফাইনালে খেলে। ডার্বির ফাইনালে খেলল শৈলেন মান্না ও আহমেদ খানের নামাঙ্কিত দল। বিলেতের মাঠে ৪-১ গোল ডার্বি জিতল মোহনবাগান।
টুর্নামেন্টের প্রধান অতিথি ভারতীয় ফুটবলের পরিচিত নাম চিমা ওকোরি। অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘আমাদের আসল টার্গেট ছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে দেখানো, এই দুটো ক্লাব নিয়ে সারা বিশ্বে উন্মাদনা ঠিক কতটা। এই টুর্নামেন্ট দেখতে বিদেশের মাঠেও প্রায় ৫০০ জন উপস্থিত ছিল। ইচ্ছে আছে আগামী বছর যদি সম্ভব হয় তা হলে একটা লেজেন্ডস ম্যাচের আয়োজন করব। আর পারলে সিনিয়র দলগুলোকেও আনার চেষ্টা করব।” ডার্বির ‘থিম সং’ গেয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।
[বুদ্ধই দেখিয়েছেন মুক্তির পথ, ৯ দিনের জন্য ভিক্ষুবেশে খুদে থাই ফুটবলাররা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.