শুভজিৎ মণ্ডল: শুরু হয়েছিল বেশ ঘটা করে। জাতীয় ফুটবল লিগের পরিবর্তে আই লিগ যখন দেশের প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের মর্যাদা পায়, তখন অনেকেই আশাবাদী ছিলেন আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবলের চালচিত্র বদলে দেবে আই লিগ। কিন্তু ক্রমশ ভারতের প্রথম সারির লিগ তাঁর জৌলুশ খুঁইয়েছে। দিনে দিনে প্রচারের আলো থেকেও বেরিয়ে গিয়েছে। আইএসএল আসার পর অনেকটা দুয়োরানির মতোই অবহেলিত আই লিগ। আইএসএল যেখানে সব আলো কেড়ে নিয়েছে সেখানে আই লিগে প্রচারের কাজটি সারা হয়েছে নমো নমো করেই। সম্প্রচারকারী সংস্থা তো বটেই, ক্লাবগুলিও প্রচারের বিষয়টিতে বড্ড উদাসীন। আশ্চর্যজনকভাবে এদিকে খেয়াল নেই আয়োজকদেরও।
এই ছবি বদলাতে এবার আসরে নামতে চলেছে মোহনবাগানের দুটি ফ্যান ক্লাব। মোহনবাগানের খেলায় স্টেডিয়ামে দর্শক বাড়াতে এবং আই লিগকে মোহনবাগানিদের কাছে পৌঁছে দিলে শহর কলকাতা এবং শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় ফ্লেক্স লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে বেলেঘাটা মেরিনার্স এবং মেরিনার্স ডি এক্সট্রিম। এই উদ্যোগে তাদের বিশেষ সহযোগিতা করেছে মেরিনার্স @ ব্যাঙ্গালোর নামের আরও একটি ফ্যান ক্লাব। কলকাতা ও শহরতলির উল্লেখযোগ্য জায়গাগুলিতে মোট ১০টি ফ্লেক্স লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে চারটি ফ্লেক্স ইতিমধ্যেই লাগানো হয়েছে। মোহনবাগানের ম্যাচ দেখতে আহ্বান করার পাশাপাশি, আই লিগে ক্লাবের ক্রীড়াসূচিও লেখা হয়েছে ফ্লেক্সগুলিতে। ফ্যান ক্লাবগুলির দাবি, কিছু দিনের মধ্যে হাওড়া, উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, বারুইপুর, সোনারপুর, বারাকপুর, বারাসত অঞ্চলে এমন আরও ফ্লেক্স ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এই প্রথম নয়, এর আগেও মাঠে দর্শক টানতে উদ্যোগ নিয়েছে মেরিনার্স ডি এক্সট্রিম ও বেলেঘাটা মেরিনার্স ফ্যান ক্লাব। মোহনবাগানের হোম ম্যাচে দর্শকদের সুবিধার্থে ব্যাগেজ কাউন্টারও তৈরি করেছিল এরা।
একদিন আগেই ছোটদের ডার্বিতে লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল মাঠে। পরাজয়ের জ্বালা জুড়তে না পেরে লাল হলুদ সমর্থকরা অভব্য আচরণ করেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের এই রূপ যখন ময়দানকে কলুষিত করছে তখনই মেরিনার্সদের ফুটবলপ্রেম উদাহরণ হয়ে রইল, বলেই দাবি ফ্যান ক্লাবের সদস্যদের। তাঁরা বলছেন, এখানেই দুটি ক্লাবের সংস্কৃতির পার্থক্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.