Advertisement
Advertisement

রবিবার ৫০ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৮,৫৮৪ সদস্য

সকাল দশটায় শুরু ভোটদান পর্ব।

Mohun Bagan election: 50 candidates pitch for post

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 27, 2018 5:45 pm
  • Updated:October 27, 2018 5:45 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: প্রহর গোনা শেষ। বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে রবিবার। অবশেষে হচ্ছে মোহনবাগান নির্বাচন। যে নির্বাচনের সঙ্গে জড়িয়ে সুনামখ্যাত বহু ব্যক্তিত্ব। জড়িয়ে কিছু রাজনৈতিক নেতার নামও। যাঁরা সরাসরি না দাঁড়ালেও তাঁর ভাই কিংবা দাদা, এমনকী ভাগ্নে দাঁড়িয়ে পড়েছেন নির্বাচনে। এই গোষ্ঠীর মধ্যে যেমন রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পাশাপাশি থাকছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামও। এভাবে একটা ক্লাব নির্বাচনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নাম জড়িয়ে পড়া সাধারণ বিষয় নয়।

[সহজ জয় দিয়েই আই লিগ অভিযান শুরু ইস্টবেঙ্গলের]

রবিবার সকাল দশটা থেকে ভোটদান পর্ব শুরু হবে। চলবে সন্ধে পাঁচটা পর্যন্ত। তবে এই সময়ের মধ্যে ভোটপর্ব শেষ না হলে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের যথারীতি ভোট নেওয়া হবে। তাতে যদি নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যায় তাতেও কোনও সমস্যা হবে না। সেক্ষেত্রে ভোট গণনা পর্ব পিছিয়ে যাবে। ফল ঘোষণা করতে মাঝরাত পেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।

Advertisement

সচিব পদ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অঞ্জন মিত্র। ফলে সচিব হিসাবে জয়ী হয়ে গিয়েছেন টুটু বোস। যদিও সরকারিভাবে তা ঘোষণা করা হয়নি। রবিবার ভোটপর্বের পর গণনা শেষ হলে সরকারিভাবে সচিব হিসাবে টুটু বোসের নাম ঘোষণা করে দেবেন আদালত নিযুক্ত নির্বাচক কমিটির তিন প্রাক্তন বিচারপতি। ফলে ২২ টার মধ্যে একটা পদে নির্বাচন হচ্ছে না। বাকি ২১টা পদে নির্বাচন হবে। মোট ৮৫৮৪ জন ভোটার ঠিক করবেন আগামী তিন বছর কারা শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের দায়িত্বে আসবেন। নির্বাচক কমিটির ধারণা, তিন-চার হাজার ভোটার বড়জোর ভোট দিতে আসবেন। তবে সবদিক দিয়ে তাঁরা ভোট পর্ব শেষ করতে প্রস্তুত। নির্বিঘ্নে যাতে সবাই ভোট দিতে আসতে পারেন তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও তাঁরা নিয়েছেন। তবে এবার কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিটি ভোটারকে ভোট দিতে আসার সময় অবশ্যই সরকার প্রদত্ত সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো যে কোনও একটা কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

পূজোর পর ভোট। ফলে ক্লাবের বহু ভোটার এখন পুজোর আমেজ কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই ভোটারের সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ভোট পর্বের শেষ প্রহরে অবশ্য নাম প্রত্যাহার করা সত্ত্বেও নিজের প্যানেলকে ভোট দিতে আবেদন জানিয়েছেন অঞ্জন মিত্র। মাঝে মাঝে অবস্থা বুঝে কোনও কোনও ভোটারের কাছে সচিবের আবেদন থাকছে, তাঁর মেয়ে সোহিনি মিত্রকে কেবলমাত্র ভোট দেওয়া হোক। স্বভাবতই টুটু শিবিরের পক্ষ থেকে অঞ্জন মিত্রের এইভাবে ভোট চাওয়াকে দ্বিচারিতা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। টুটু বোস অবশ্য আগাগোড়া তাঁর প্যানেলকে জয়ী করার কথা বলে আসছেন।

এখন দেখার আগামিকাল কার হাতে আগামী তিন বছরের জন্য ক্লাবের দায়িত্ব তুলে দেন সদস্যরা। তবে যাঁরাই দায়িত্বে আসুন তাঁদের আইএসএল খেলার জন্য মানসিকতা নিয়ে আসতে হবে। টুটু বোস ইতিমধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছেন, তাঁদের প্যানেল নির্বাচনে জিতে এলে অবশ্যই আইএসএল খেলার জন্য ঝাঁপাবে। অঞ্জন শিবির অবশ্য খোলাখুলিভাবে এখনও আইএসএল খেলার বিষয়টি ঘোষণা করেনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement