স্টাফ রিপোর্টার: কেউ দেখে শেখে। কেউ ঠেকে। তোমরা দেখে শেখো। জর্জ টেলিগ্রাফ ম্যাচের আগে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের প্রতি এই উপদেশ শংকরলাল চক্রবর্তীর। কিন্তু হঠাৎ মোহনবাগান কোচের গলায় সতর্কতার সুর কেন? যখন কলকাতা লিগে এই মুহূর্তে তাঁর দলই শীর্ষে! আসলে প্রথমে এরিয়ানের কাছে মহামেডানের হার। তার পরপরই কাস্টমসের কাছে ইস্টবেঙ্গলের আটকে যাওয়া দেখে সতর্ক বাগান কোচ। তাই দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট পাওয়া তাঁর দল যাতে আত্মতুষ্ট, অসতর্ক হয়ে না পড়ে, সেদিকে কড়া নজর শংকরলালের। ফুটবলারদের বারবার বলছেন, আট বছর বাদে এ বার কলকাতা লিগ বাগানে ঢোকা চাই-ই। আর তার জন্য কোনও বিপক্ষকেই ছোট ভাবে দেখার অবকাশ নেই।
[ঘরোয়া লিগের পর সরে দাঁড়াতে চাই, ঘোষণা অভিমানী মেহতাবের]
পাশাপাশি ফুটবলারদের প্রথম দুই ম্যাচের ত্রুটি-বিচ্যুতিও হাতে-কলমে দেখিয়ে দিচ্ছেন তিনি। শনিবার ফুটবলারদের সিচুয়েশন প্র্যাকটিস না করিয়ে ভুলত্রুটি শুধরোনোর সহজপাঠ বরং দিলেন শংকরলাল। জ্বর থেকে সেরে উঠে এ দিনই প্র্যাকটিসে যোগ দিলেন হেনরি কিসেকা। তবে সর্দি-কাশির পাশাপাশি রয়ে গিয়েছে দুর্বলতাও। তাই অন্য ফুটবলারদের সঙ্গে তাঁকে ব্যবহার করলেন না শঙ্করলাল। কিসেকা ও অবিনাশ রুইদাস সময় কাটালেন ফিজিক্যাল ট্রেনার সমীরণ নাগের কাছে। পায়ের চোট কাটিয়ে এ দিন এলেন অবিনাশও। যদিও রবিবার জর্জের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচের প্রথম দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা প্রায় নেই। শংকরলাল বললেন, “রোজ রোজ প্ল্যানে পরিবর্তন আনলে নিজেদেরই সমস্যা। জর্জ টেলিগ্রাফ আর আমাদের শেষ ম্যাচ একই দিনে ছিল। তাই ওদের খেলা দেখা সম্ভব হয়নি। তবে কিছু তথ্য হাতে এসেছে। শুনেছি ওরা বেশ ভাল দল। এক জাপানি ফুটবলার আছে বেশ বিপজ্জনক।”
আগের ম্যাচে দুই প্রধানের আটকে যাওয়া প্রসঙ্গে বাগান কোচের ব্যাখ্যা, “আমার ছেলেদের কথাটা বারবার বলেছি। গত চার বছর হাতের সামনে থেকে কখনও আই লিগ, কখনও ফেডারেশন কাপ, কখনও কলকাতা লিগ বেরিয়ে যেতে দেখেছি। তাই এ বার কাউকে হালকা নেওয়ার প্রশ্নই নেই।” শুক্রবারই ট্রায়ালে আসা বিদেশি বোবানকে বাতিল করেছেন। চতুর্থ বিদেশি নিয়ে হাপিত্যেশ করছে না মোহনবাগান। জাপানি মিডফিল্ডার ইউটার সঙ্গে চুক্তি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে। এ দিন ক্লাব সচিবকে সেটা মনে করিয়ে দেন অন্যতম ডিরেক্টর দেবাশিস দত্ত। প্রয়োজনে ইউটাকে দিন দশেক আগে কলকাতায় আনার কথাও বলেন। সেই মতো তাঁর ভিসা প্রক্রিয়ার কাজও শুরু করে দেওয়া হল।
[ঘরের মাঠে বড় ধাক্কা, কাস্টমসের কাছে হোঁচট খেয়ে চাপে ইস্টবেঙ্গল]
বাগানের অন্য এক মিডফিল্ডার অবশ্য লিগের পর অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন। তিনি মেহতাব হোসেন প্রায় এক যুগ পর ফের গায়ে তুলেছেন সবুজ-মেরুন জার্সি। প্রথম থেকে বলে এসেছেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য দীর্ঘ আট মরশুম পর মোহনবাগানকে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন করা। মেহতাব শেষ যে মরশুমে মোহনবাগানে ছিলেন, সেই ২০০৫-০৬’এ তাঁর অধিনায়কত্বেই কলকাতা ঘরোয়া লিগ জিতেছিল ক্লাব। এ বার কলকাতা লিগের পরই সম্ভবত বুট জোড়া তুলে রাখবেন মেহতাব। শুক্রবার মাঝরাতে নিজের সোশ্যাল প্রোফাইলে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন মেহতাব। যেখানে তারকা মিডফিল্ডারের স্পষ্ট ইঙ্গিত, কলকাতা লিগের পর অবসর নেবেন। কারণও দিয়েছেন সেই পোস্টে- মরশুমের শুরু থেকে তাঁর লক্ষ্য ছিল কয়েকটা ম্যাচ খেলে অবসর নেবেন। তাই এই সিদ্ধান্ত। অবশ্যই জানেন না, ক’টা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন, কিন্তু যখনই মাঠে নামবেন, সেরাটা দেবেন।
[মাঠের মালিকানা তিন প্রধানের হাতেই থাক, রাজ্যসভায় দাবি সাংসদ ঋতব্রতর]
ছবি: অচিন্ত্য রায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.