মোহনবাগান- ২ (ইউটা, হেনরি)
শিলং লাজং- ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ঘরের মাঠে স্বস্তির জয় মোহনবাগানের। রবিবার যুবভারতীতে শেষের কবিতার শহর শিলংয়ের ক্লাব লাজংকে হারিয়ে চলতি আই লিগে ঘরের মাঠে প্রথম জয় পেল সবুজ-মেরুন শিবির। মরশুমে এখনও পর্যন্ত ঘরের মাঠে জিততে পারেনি তারা। তিনটে ম্যাচের দু’টি ড্র। চার্চিলের বিরুদ্ধে হার। রবিবারে তাই রেকর্ড বদলানোর ম্যাচ ছিল বাগানের। এদিন লাজংকে ২-০ গোলে হারাল মোহনবাগান। দুটি গোলই আসে বিরতির পর। তবে দুই অর্ধেই দাপটের সঙ্গে খেলেছেন হেনরি, ডিকারা। গোল করলেন ইউটা ও হেনরি। পরিবর্ত হিসাবে হলেও বহুদিন পর মাঠে নামলেন মেহতাব হোসেন। সবমিলিয়ে ডার্বি-উত্তর পরিস্থিতিতে ভরা পৌষে বাগানে বসন্ত বিরাজমান। ফুল ফোটালেন ফুটবলাররা, স্বস্তি কোচ থেকে কর্মকর্তার। এই জয়ের ফলে আরও জমে গেল আই লিগ। নেরোকা এফসি, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের পয়েন্ট হয়ে গেল ১৫। ইস্টবেঙ্গলের অবশ্য় এই পযেন্ট এক ম্য়াচ (৮) কম খেলে। তবে গোল পার্থক্যের জন্য তিনে নেরোকা, চারে ইস্টবেঙ্গল এবং পাঁচে যথাক্রমে উঠে এল মোহনবাগান। একে চেন্নাই এবং দুইয়ে রিয়েল কাশ্মীরের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান সামান্যই।
এদিন জয় ছাড়া আর কোনও লক্ষ্যই ছিল না কোচ শংকরলালের। সেইমতো অযথা হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিয়ে মাথা ঠান্ডা করে খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন ফুটবলারদের। মোহন-কোচের সেই অমোঘ বাণী অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে জয় পেল সবুজ-মেরুন শিবির। চলতি আই লিগে ঘরের মাঠে প্রথম জয় স্বস্তিও দিয়েছে ফুটবলারদের। শনিবার ঘরের মাঠে রিয়েল কাশ্মীরের কাছে চেন্নাই সিটি হেরে যাওয়ায় এমনিতেই আই লিগ জমে উঠেছিল। সেই ম্যাচ লিগ তালিকায় অনেক টিমকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। আশার আলো দেখেছিল মোহনবাগানও। রবিবাসরীয় সন্ধেয় যুবভারতীতে শিলং লাজংকে হারিয়ে এবার লিগ আরও জমিয়ে দিল সবুজ-মেরুন শিবির। প্রথমার্ধে দাপটের সঙ্গে খেললেও গোলমুখ খুলতে পারেনি মোহনবাগান। বিরতির পর প্রথম গোল আসে ইউটার পা থেকে। জাপানি মিডিওর দুর্দান্ত শটে লাজংয়ের জালে বল জড়িয়ে যায়। তারপর বক্সে জটলার মধ্যে হেনরির গোল ব্যবধান বাড়ায়। এদিন ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন থাকলে আরও গোল করতে পারত মোহনবাগান। বহুদিন বাদে বেশ জমাট খেলা দেখাল মোহনবাগানের মাঝমাঠ। ইউটা ও মেহতাব জুটিতে কামাল দেখিয়েছে এদিন। তবে আক্রমণে কিছু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ডিকা ও হেনরি। সোনির অনুপস্থিতিতে ওমর বেশ দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন।
[আইলিগে রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ, ফেডারেশন সভাপতিকে চিঠি টুটু বোসের]
এদিকে, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে খুব একটা ভাল জায়গায় ছিল না শিলং লাজং। তারা শেষ ম্যাচ খেলেছে ১১ ডিসেম্বর। ভুস্বর্গে সেদিন ১-৬ গোলে হারে ‘শেষের কবিতা’র শহর। একে শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারের ধাক্কা, তার উপর দীর্ঘদিন ম্যাচ না খেলায় তাদের মনোযোগে চিড় ধরে থাকা। চারদিক থেকে এমন বেকায়দায় থাকা দলের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণের রোড রোলার চালাতে চাইছিল মোহনবাগান। এদিনের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর আরও তলানিতে চলে গেল লাজং। লিগ এখন এমন অবস্থায় যে, যেকোনও মুহূর্তে পালটে যেতে পারে টেবল স্ট্যান্ডিং। তাই এপর্যায় থেকে সব দলই সাবধানী হয়ে থাকবে আশা করা যায়। পয়েন্ট নষ্ট করার ব্যাপারে সবাই সচেতন থাকবে। লাজং ম্যাচের আগেরদিন কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী বলছিলেন, “মিনার্ভাকে হারানোর পর ছেলেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এসেছে। যেভাবেই হোক এটা ধরে রাখতে হবে। আমার তিন পয়েন্ট চাই-ই চাই।” সঙ্গে জোড়েন, “লিগের মজা হচ্ছে টেবিলে যে কোনও সময় পরিবর্তন আসে। দু’একটা ম্যাচ টানা জিতলেই খাদ থেকে চূড়ায় ওঠা যায়। তাই ছেলেদের শুধু বলি ধৈর্য রাখতে। তাহলেই সব হয়ে যায়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.