Advertisement
Advertisement

প্রশংসা ও সৌহার্দ্যের আস্তিনেই ডার্বির স্ট্র্যাটেজি লুকিয়ে রাখলেন দুই কোচ

দেখে নিন ডার্বির আগে কী বললেন দুই কোচ।

Mohun Bagan and East Bengal coaches are prepared for I League Derby
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 2, 2017 1:06 pm
  • Updated:December 2, 2017 1:06 pm  

সুলয়া সিংহ: মোহনবাগানকে আটকাতে আগামিকাল আপনার স্পেশ্যাল স্ট্র্যাটেজি কী হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিলের সোজাসাপটা উত্তর, “সেটা নাহয় কাল ভাবব।” তারপরই হাসির রোল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের তাঁবুতে সাংবাদিক সম্মেলন। তার জন্যই মুখে হাসি রাখতে হবে, এমন কথা ভেবে মোটেই হাসছেন না কোচ। বরং হাসির আড়ালেই লুকিয়ে রাখলেন তাঁর যাবতীয় স্ট্র্যাটেজি, প্ল্যানিং ও মানসিক পরিস্থিতি। বাইরে থেকে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, ডার্বি তো কী! আলাদা কোনও চাপ নেই।

আই লিগের মাত্র একটা করে ম্যাচ খেলেছে দুই দল। পরের ম্যাচই ডার্বি। সামনে লম্বা টুর্নামেন্ট পড়ে রয়েছে। তাই অলআউট অ্যাটাকে যাওয়াটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি এক পয়েন্টও ঝুলিতে আসে, তাহলেও কম নয়। সরাসরি এ কথা না বললেও আকারে-ইঙ্গিতে তা বুঝিয়ে দিলেন দুই দলের কোচই। সঞ্জয় সেন বলছেন, “ডার্বির আগে কি ছেলেদের বলব ড্রয়ের জন্য মাঠে নামো?” না, সত্যিই তেমনটা বললে লড়াইয়ের ঝাঁজ কমে যায়। কিন্তু রবিবারের যুবভারতীতে ডিফেন্সিভ ফুটবলই দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

Advertisement

sony_web

[ফের হবে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’, ডার্বিতে বাগান সমর্থকদের ভরসার নাম সোনি]

মাঠে নামার আগে দুই কোচই একে-অপরকে সমীহ করতে ব্যস্ত। প্রাক্তন আইজল কোচ তো একই কথা বলে গেলেন, “মোহনবাগানে অনেক ভাল ফুটবলার রয়েছে। ওদের ডিফেন্স, অ্যাটাক সবই ভাল।” খোঁচা দিয়েও যে তাঁর পেট থেকে কিছু বের করা সম্ভব নয়, তা বোঝা গেল। আইজলের কোচ থাকাকালীন সঞ্জয় সেনের থেকে ছোঁ মেরে আই লিগ ট্রফি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। তাই সেই কোচের দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ নেই বাগান কোচেরও। খালিদ যখন বাগানের গুণগান গাইলেন, তখন সঞ্জয় সেনও জানিয়ে দিলেন, তাঁরা কোনওভাবেই আন্ডারডগ নন। এটাই কি চাইছিলেন খালিদ? সোজা কথায়, মাঠে বল গড়ানোর আগেই খালিদ নিজের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিলেন।

অনেকদিন পর কলকাতায় ডার্বি। আর এই ম্যাচ ফুটবলপ্রেমীদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝে গিয়েছেন খালিদ। তাই বলছেন, “প্রতিটা ম্যাচই কঠিন। কিন্তু ডার্বির গুরুত্ব তো সবসময়ই একটু বেশি।” তার জন্য অবশ্য অতিরিক্ত চাপ নিতে নারাজ তিনি। উপচে পড়া সমর্থকদের ভিড় নিয়ে চিন্তিত নন সোনি-ব্র্যান্ডনরা। সোনিও শুনিয়ে রাখলেন, তাঁকে মার্কিংয়ের জন্য ছক কষা হলে বাগান ডিফেন্ডাররাও ছেড়ে কথা বলবে না। অর্থাৎ আপাত সৌহার্দ্যের আড়ালেই দুই শিবিরে মজুদ লড়াইয়ের মশলা। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে রবিবার।

[ডার্বির আগে চনমনে লাল-হলুদ শিবির, সোনিকে নিয়ে ভাবতে নারাজ এডু]

ছবি ও ভিডিও সৌজন্যে: অভিষেক রক্ষিত

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement