সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হতে পারতেন নায়ক। কিন্তু দিনের শেষে তিনি ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই থেকে গেলেন। তিনি মোহিত শর্মা (Mohit Sharma)।
এখন রাতের ঘুম গিয়েছে তাঁর। হারের ক্ষতে এখনও প্রলেপ পড়েনি। নিরন্তর ভেবেই চলেছেন, আর কী করতে পারতেন তিনি! মনে উঠছে প্রশ্নের ঝড়। কিন্তু উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না মোহিত শর্মা।
শেষ ওভারের প্রথম চারটি বল ইয়র্কার দিয়েছিলেন। শিবম দুবে এবং রবীন্দ্র জাদেজা মারমুখী হওয়ার সুযাগ পাননি। কিন্তু শেষ দু’ বল হিসেব গুলিয়ে দেয়। সব এলোমেলো করে দেয়। ভেস্তে যায় পরিকল্পনা।
ম্যাচের শেষে মোহিতকে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। শেষ ওভারে জেতার জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। এরকম পরিস্থিতিতে অতীতেও বল করেছেন। নেটেও এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করে অনুশীলন করেছেন। সোমবারের ফাইনালে মোহিত একসময়ে গুজরাট টাইটান্সকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন। রায়ডু আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন। মোহিতকে দুটো ছক্কা ও বাউন্ডারি মারেন। সেই মোহিতই ফেরান রায়ডুকে। পরের বলেই ধোনি আউট হন। ম্যাচে ফিরে আসে গুজরাট। মোহিত বলছেন, ”আমি কী করতে চাই সেই দিক থেকে আমি পরিষ্কার ছিলাম। নেটে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করে আমি আগেও বল করেছি। সেই কারণে আমি বল চেয়ে নিয়েছিলাম। সবক’টা বল ইয়র্কার করতে চেয়েছিলাম। মন যা বলছিল, সেটাই আঁকড়ে ধরেছিলাম।”
শেষ ওভারের আগে গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়ার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হচ্ছিল মোহিতের। তাঁর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান পাণ্ডিয়া। উত্তরে মোহিত বলেছিলেন, ”আমি ইয়র্কার দেওয়ার চেষ্টা করবো। মানুষ এখন নানাধারনের কথা বলছেন, তবে সেগুলোর অর্থ নেই। জাদেজার গোড়ালি লক্ষ্য করে ইয়র্কার দিতে গিয়েছিলাম। তবে বলটা যে জায়গায় পড়েছিল, সেখানে পড়া উচিত ছিল না। ব্যাটে বলে কানেক্ট করে ফেলে জাদেজা।”
তার পরের দৃশ্য ব্যাট উঁচিয়ে দৌড়চ্ছেন জাদেজা। আর মোহিত শর্মা ভেঙে পড়েছেন হতাশায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.