সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিতালি রাজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে সহজ-স্বাভাবিক ছিল না, তা মেনে নিলেন রমেশ পওয়ার। তবে তাঁর দাবি, বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে মিতালির বাদ পড়ার ঘটনায় সম্পর্কের এই শীতলতা কোনও প্রভাব ফেলেনি। মিতালি সম্পূর্ণ ক্রিকেটীয় কারণে বাদ পড়েছিলেন।
[‘বিশ্বকাপে কোচের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছি’, বিস্ফোরক মিতালি]
বিশ্বকাপ-বিতর্কে মিতালির মন্তব্যে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। তিনি বোর্ডে যে ই-মেল পাঠিয়েছেন, তাতে নিশানা শুধু পওয়ার একা নন, সিওএ সদস্য প্রাক্তন নামী ক্রিকেটার ডায়ানা এডুলজিও। পাওয়ার অবশ্য এদিন মুম্বইয়ে বোর্ডের সদর দপ্তরে সিইও রাহুল জোহরি ও জিএম (ক্রিকেট অপারেশন) সাবা করিমের সামনে বসে মিতালির বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ এনেছেন। তিনি নাকি বলেছেন, মিতালি শুধু দলের ব্যাপারে উদাসীনই ছিলেন না, কোচ হিসাবে তাঁকে নিয়ন্ত্রণে রাখাও মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল! পওয়ার বৈঠকে মিতালি সম্পর্কে ‘অ্যালুফ’ ও ’ডিফিকাল্ট টু হ্যান্ডল’ শব্দগুলি ব্যবহার করেছেন বলে খবর। এ ছাড়াও পওয়ারের অভিযোগ মিতালি নাকি মাঝপথেই টুর্নামেন্ট ছেড়ে আসতে চেয়েছিলেন। কোচের স্ট্র্যাটেজি মানতেন না। পাকিস্তান ম্যাচে জোর করে ওপেন করেন। আর তার উপর মিতালি নাকি ব্ল্যাকমেলও করার চেষ্টা করেছেন পওয়ারকে।
মিতালি তাঁর বক্তব্যে কোচ সম্পর্কে বলেছেন, পওয়ার তাঁকে এড়িয়ে চলতেন।
[বিশ্বকাপে বিতর্কের জের, মিতালি রাজের অবসর নিয়ে জল্পনা]
কিন্তু পওয়ার সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। যাঁর মতে, মিতালিকে বাদ দেওয়া ছিল দলের স্ট্র্যাটেজি। খারাপ স্ট্রাইক রেট এর অন্যতম কারণ। তাছাড়া উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখার ব্যাপারও ছিল। কিন্তু পওয়ারকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে, তাহলে পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড ম্যাচে মিতালির এই স্ট্রাইক রেটের ব্যাপারটা ভাবা হয়নি কেন, তিনি কোনও জবাব দিতে পারেননি। দুটো ম্যাচেই মিতালি হাফসেঞ্চুরি করেন। মিতালিকে বাদ দিতে বাইরের কোনও চাপ ছিল কি না জানতে চাওয়া হলে পওয়ার অস্বীকার করেন। কিন্তু তিনি জানান, বোর্ডের এক প্রভাবশালী কর্তা ম্যানেজার ও দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
[টি-টোয়েন্টি দল থেকে মিতালির বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুললেন সৌরভ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.