Advertisement
Advertisement

Breaking News

ওজিলের পাশে দাঁড়িয়ে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে নয়া স্লোগান জার্মানদের

#MeTwo হ্যাশট্যাগ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিবাসীরা।

#MeTwo storm in Twitter after Mesut Ozil’s retirement blamed on racism
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:July 28, 2018 6:55 pm
  • Updated:July 29, 2018 4:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ণবিদ্বেষের কারণ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন জার্মান ফুটবলার মেসুট ওজিল। টুইটারে লিখেছিলেন, বিশ্বকাপে আমার সঙ্গে যা হয়েছে সেটার পর আর জার্মানির হয়ে খেলব না। জার্মানির বর্ণবিদ্বেষের আবহে আমার মনে হয়েছে এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। এক সময় গর্ব হত জার্মান জার্সি পরে মাঠে নামলে। এখন ছবিটা পুরো আলাদা। কিন্তু বিদায়বেলায় এটাই বলতে চাই, আমি সবসময় দেশের জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।” তাঁর অবসরের পর সপ্তাহখানেক কেটে গেলেও ওজিলের অভিযোগের আগুন এখনও ধিকিধিকি জ্বলছে জার্মানিতে. অন্যান্য দেশের বংশোদ্ভুতদের জার্মান নাগরিকদের কী নজরে দেখা হয়, এবার সেই প্রশ্নেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া।

[ইমরান খানের হাত ধরে পিসিবির শীর্ষপদে বসছেন আক্রম?]

বিশ্বকাপের আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ওজিল। জার্মান ফেডারেশন থেকে তাঁকে সতর্কও করা হয়। যে ঘটনার কথা তুলে বিবৃতিতে ওজিল লেখেন, ‘জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের উচ্চপদস্থ কর্তারা যেমনভাবে আমার সঙ্গে আচরণ করেছেন সেটা মানা যায় না। সবাই জানে আমি তুরস্ক বংশোদ্ভূত। তাও আমাকে রাজনৈতিক প্রচারে জড়িয়ে ফেলা হয়। আর ফুটবলে বর্ণবিদ্বেষের জায়গা নেই।’ এবার ওজিলের পাশে দাঁড়িয়ে সরব জার্মান অভিবাসী। ‘বর্ণবিদ্বেষ এবং অসম্মান’। এই দুইই জোটে তাঁদের ভাগ্যে। আর তাই #MeTwo হ্যাশট্যাগ তৈরি করে জার্মান সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিবাসীরা। নিজেদের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরছেন তাঁরা। তাঁদের প্রশ্ন, ওজিলের জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা জার্মানিতেই। তা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করা হল কেন?

Advertisement

উল্লেখ্য, কর্মক্ষেত্রে অশালীন আচরণ, ধর্ষণ, নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে #MeToo হ্যাশট্যাগ দিয়ে সরব হয়েছিলেন গোটা বিশ্বের মহিলারা। সেই অভিযানের নামই সামান্য পালটে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছেন জার্মান নাগরিকরা। এখানে Two শব্দের অর্থ দুটি আলাদা পরিচয়। তুর্কি-জার্মান নাগরিকরা ফেসবুক এ নিয়ে ভিডিও পোস্ট করেছে। হিটলারের দেশের ২২ শতাংশ জার্মান অভিবাসীই ওজিলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ দেশে বর্ণবিদ্বেষের বিষয়টি কী মারাত্মক আকার ধারণ করছে, সেটাই তুলে ধরতে চাইছেন তাঁরা।

[দুর্ঘটনায় মৃত ইস্টবেঙ্গলের আশিয়ান জয়ী ফুটবলার কুলথুঙ্গান, ময়দানে শোকের ছায়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement