Advertisement
Advertisement

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে ইতিহাসের দোরগোড়ায় মেরি কম

বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ আর মেরি কম, নাম দুটো সমার্থক হয়ে গিয়েছে।

Mary Kom in World Boxing Championships final
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:November 23, 2018 1:59 pm
  • Updated:November 23, 2018 1:59 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল চিৎকারে ফেটে পড়ছিল চারিদিক। এক একটা রাউন্ডের লড়াই শেষ হচ্ছে, হাজার হাজার মানুষের গর্জনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজধানীর বুকে। যখন পঞ্চম রাউন্ডের লড়াই শেষ হয় তখন মানুষ বুঝে গিয়েছে লড়াইয়ের পরিণতি কী হতে চলেছে। আবার বক্সিংয়ের ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন আদরের মেরি কম। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন। যে লড়াইয়ে তিনি নামবেন শনিবার। প্রতিপক্ষ ইউক্রেনের হান্না ওকেহোতা। যাঁকে এবছরের গোড়ায় পোল্যান্ডে হারিয়েছেন। ফাইনালে ওঠার পর মেরি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ষষ্ঠ সোনা তুলতে প্রস্তুত। “পোল্যান্ডে হারিয়ে ছিলাম ওকেহোতাকে। এখন থেকেই স্ট্র‌্যাটেজি ঠিক করে ফেলেছি। সোনা জেতার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।”

[ব্রিটিশদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ হরমনপ্রিতদের, বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ভারতের]

Advertisement

বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ আর মেরি কম, নাম দুটো সমার্থক হয়ে গিয়েছে। এভাবে টানা বিশ্ব বক্সিংয়ে পদক জিততে কোনও মহিলা বক্সারকে দেখা যায়নি। যা করে চলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার যখন মেরি কম রিংয়ে নামলেন তখন বক্সিংপ্রেমীরা আন্দাজ করে নিয়েছিলেন, লড়াইয়ের শেষ কী হতে পারে। সকলে নিশ্চিত ছিলেন, মেরির কাছে জয়টা শুধু সময়ের অপেক্ষা। অতীতে মেরি অনায়াসে হারিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার মি হিয়াং কিমকে। সংশয় ছিল বয়স। যতই হোক মেরির বয়স এখন ৩৫। সেখানে হিয়াং অনেক জুনিয়র। উচ্চতাও বেশি। কিন্তু সবকিছুকে পিছনে ফেলে দিলেন মেরি। আবার বুঝিয়ে দিলেন বয়সটা সংখ্যা মাত্র। না হলে ৫-০তে জেতা যায় না। তাও আবার বিশ্ব বক্সিংয়ের সেমিফাইনালে। প্রথম রাউন্ড থেকে কখনও পিছিয়ে পড়েননি। যতই তাঁকে রিংয়ের বাইরে শান্ত স্বভাবের মনে হোক না কেন, আসলে তিনি যে রিংয়ের ভিতর ভয়ংকর হয়ে ওঠেন তা আবার প্রমাণ করলেন। এদিন শুরুতে সাবধানী ছিলেন। দু’জনেই খোলস ছেড়ে বেরোতে চাননি। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন দুজনেই। তবে মেরির পাঞ্চ ছিল দেখার মতো। আজ তিনি যেন জিততে এসেছেন। বাস্তবে হলও তাই। কিমকে একপ্রকার উড়িয়ে দিয়ে মেরি পৌঁছে গেলেন ফাইনালে।

[ফের চমক আয়োজকদের, মাধুরীর ঠুমকা দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ]

মঙ্গলবার সেমিফাইনালে উঠে রেকর্ড গড়েছিলেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে আইরিশ বক্সার কেটি টেলরের রেকর্ড (৫ সোনা ১ রুপো) তিনি স্পর্শ করেছিলেন। এবার পৌঁছে গেলেন আর এক কিংবদন্তি কিউবার পুরুষ বক্সার ফেলিক্স স্যাভনের পাশে। স্যাভন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৬টা সোনা জিতেছেন। পেয়েছেন একটা রুপো। শনিবার মেরি জিতলে স্যাভনের সাথী হবেন। তাঁর ঝুলিতেও থাকবে ৬টা সোনা ও একটা রুপো। একপেশে লড়াইয়ে জেতার পর উচ্ছ্বসিত মেরি বলেন, “গতবছর এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ওকে অনায়াসে হারিয়ে ছিলাম। ভেবেছিলাম হার থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আমাকে কঠিন লড়াইয়ের সামনে ফেলবে। ও লম্বা। এটা বাড়তি সুবিধা। শারীরিক উচ্চতার বক্সাররা সহজে প্রতিপক্ষের সামনে পৌঁছে যেতে পারে। আগে ওর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছি বলে এসব কিছুকে মাথায় রাখিনি। উচ্চতায় খাটো হলে অন্যদিক থেকে প্রতিপক্ষকে আক্রমন করতে হয়। সেই স্ট্র‌্যাটেজি নিয়ে এগিয়েছি। তাই ও আমার সামনে দাঁড়াতে পারেনি।” শনিবারের ফাইনাল নিয়ে মেরি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ফাইনালে সোনা জয় নিয়ে সংশয় নেই। এটাও যেন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর কিছু নয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement