সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’সপ্তাহ আগের ঘটনা৷ নিজের পুরনো দলের কাছে ০-৪ গোলে হেরে এসেছিলেন পেপ গুয়ার্দিওলা৷ এরপর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় হয় তাঁর মুণ্ডপাত৷ পেপের জন্য মেসি নয়, মেসির জন্য পেপ৷ তৈরি হয় এই জাতীয় হ্যাশ ট্যাগ৷ চুপচাপ সব সহ্য করেছিলেন তিনি৷ মাঝে কেটেছে একটা মাত্র মঙ্গলবার৷ তাতেই পেপ বোঝালেন, কারও বদান্যতায় নয়, তিনি এই মুহূর্তের অন্যতম সেরা কোচ হয়েছেন নিজের দক্ষতায়৷ মঙ্গলবার রাতে নিজেদের মাঠে মেসির বার্সার বিরুদ্ধে নেমেছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি৷ আগের ম্যাচে হারের মধুর বদলা নিতে না পারলেও ক্ষতে প্রলেপ লাগিয়ে নিল ম্যান সিটি৷ এক গোলে পিছিয়ে গিয়েও জিতল ৩-১ গোলে৷ দ্বিতীয়ার্ধে পেপের ছকের কাছেই আটকে গেল বার্সা৷
দুই অর্ধে খেলল দু’টি দল৷ প্রথমার্ধ যদি বার্সেলোনার হয়, বিরতির পর তাহলে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করল ম্যান সিটি৷ বলা ভাল, শুরুতে প্রতিপক্ষকে কিছুটা মেপে নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে এমএসএন-কে ভোঁতা করে দিলেন পেপ৷ ২১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে যায় লুই এনরিকের দল৷ নেমারের পাস থেকে গোল করেন মেসি৷ আর সেই গোলের সঙ্গেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কিংবদন্তি রাউলের সর্বোচ্চ গোলের সংখ্যা (৫৩) টপকে নজির গড়েন এলএমন টেন (৫৪)৷ তার আগেই অবশ্য লিড নিয়ে নিতে পারত ম্যান সিটি৷ ১১ মিনিটে স্টার্লিংকে বক্সে ট্যাকল করেন বার্সার উমতিতি৷ ন্যায্য পেনাল্টি৷ কিন্তু হল উল্টো৷ প্লে অ্যাকটিংয়ের জন্য স্টার্লিংকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি৷ সেই স্টার্লিংয়ের পাস থেকেই প্রথমার্ধে সমতা ফেরান ইকে গুন্দোগান৷ দ্বিতীয়ার্ধে ডি ব্রুয়েনের দুরন্ত ফ্রি-কিক থেকে লিড নেয় ম্যান সিটি৷ দিনের শেষ গোলটিও করেন সেই গুন্দোগান৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.