সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফুটবল ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার লিও মেসি (Lionel Messi)। কিন্তু প্যারিস সাঁ জাঁ-য় থাকার সময়ে যোগ্য সম্মান পাননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা। যে সে নন, এই দাবি স্বয়ং কিলিয়ান এমবাপের (Kylian Mbappe)। পিএসজি-তে যিনি মেসির সতীর্থ ছিলেন।
দু’ বছর আগে মেসি যোগ দিয়েছিলেন পিএসজি-তে। কিন্তু প্যারিসে তাঁর সময়টা ভাল যায়নি। বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ক্লাব কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। তার জন্য পিএসজি তাঁকে সাসপেন্ডও করে। সাসপেনশন কাটিয়ে মাঠে ফেরার পরে তাঁকে সাঁ জাঁ সমর্থকদের কটাক্ষ শুনতে হয়। এখানেই শেষ নয়। পিএসজি-র হয়ে শেষ ম্যাচেও সম্মান দেওয়া হয়নি এলএম ১০-কে।
সেই প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে ফরাসি তারকা গেজেত্তা দেল্লো স্পোর্টকে বলছেন, ”ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার মেসি। ক্লাব ছেড়ে চলে যাচ্ছে মেসি, এটা মোটেও ভাল খবর নয়। আমি বুঝতে পারছি না, মেসি চলে যাওয়ায় কেন এত মানুষ স্বস্তি পাচ্ছেন। ফ্রান্সে যে সম্মান পাওয়ার কথা ছিল মেসির, সেটা ও পায়নি।”
কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন মেসি ও এমবাপে। স্বপ্নের ফাইনাল বলতে যা বোঝায়, সেটাই হয়েছিল। দিনের শেষে পেনাল্টি শুট আউটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। হতাশ হন এমবাপে। কিন্তু ক্লাবপর্যায়ে খেলার সময়ে দুই তারকার মধ্যে সংঘাতের কোনও গল্প কিন্তু প্রকাশ্যে আসেনি। এমবাপে ও মেসির মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা দেখা গিয়েছিল। তা আরও একবার প্রমাণিত হল গেজেত্তা দেল্লো স্পোর্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।
পিএসজি ছেড়ে মেসির নতুন ঠিকানা ইন্টার মায়ামি। মুন্দো ডিপোর্টিভোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি যা বলেছিলেন, তার নির্যাস হল, বার্সায় না হলে ইউরোপ ছাড়বেন তিনি। স্পটলাইট থেকে সরে যেতে চান। নিজের পরিবার নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে চাই। প্যারিস থেকে মেসি যাচ্ছেন আমেরিকায়। পেশাদার ফুটবলাররা ক্লাব বদলান। কিন্তু স্মরণকালের মধ্যে কোনও ফুটবলারকে মেসির মতো দুয়োধ্বনি শুনে ক্লাব ছাড়তে হয়নি। মেসির এই অসম্মান, অপমান মেনে নিতে পারেননি এমবাপে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.