সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: অবশেষে মৃত দুই অভিযাত্রীর দেহ নামিয়ে আনা হয়েছে কাঠমান্ডুতে। দেহ বর্তমানে কাঠমান্ডুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করার পর অন্তর্দেশীয় ছাড়পত্রের জন্য কিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। তা সেরে শনিবার নাগাদ দু’জনের দেহ কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
যে অভিযাত্রী দলটির হয়ে কুন্তল কাঁড়ার এবং বিপ্লব বৈদ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে গিয়েছিলেন, তাঁদের সদস্য প্রেমাঙ্কুর জানান, তাঁরা ওই দু’জনের দেহ নিয়েই ফিরবেন। গত শনিবার ক্যাম্প টু থেকে দেহ দু’টি কাঠমান্ডুর ওই হাসপাতালে নামিয়ে আনা হয়। তার আগে শুক্রবার তা ক্যাম্প ফোর থেকে ক্যাম্প টু তে নামানো সম্ভব হয়েছিল। ঘটনার পরেই কাঠমাণ্ডু পৌঁছান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুবকল্যাণ দপ্তরের পর্বতারোহণ শাখার (ওয়েস্ট বেঙ্গল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ফাউন্ডেশন) উপদেষ্টা দেবদাস নন্দী। তিনি সেখানেই রয়েছেন। অন্যদিকে, মাকালু অভিযানে গিয়ে নিখাঁজ অন্য পর্বতারোহী দীপঙ্কর ঘোষেরও তল্লাশি প্রক্রিয়ায় তদারকি করা হচ্ছে।
গত বুধবার ১৫ মে কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করে ফেরার সময় আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েন চার পর্বতারোহী। তার মধ্যে বিপ্লব বৈদ্যের আর ফেরা হয়নি। তিনি সেখানেই অসুস্থ হয়ে মারা যান। অপর একজন কুন্তল কাঁড়ার দলে থাকলেও ‘সামিট’ এর আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁরও মৃতু্য হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় দেহগুলি এক সপ্তাহ ধরে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এমনকী ক্যাম্প টুতেও নামানো যাচ্ছিল না। নেপালের পর্বতারোহী সংস্থাগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘার ‘ডেথ জোনে’ আটকে পড়েছিলেন হাওড়ার কুন্তলবাবু। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে গোটা দলটাই আটকে পড়েছিল। তার মধ্যে জীবিত রুদ্রপ্রসাদ, শেখ সাহাবুদ্দিনকে প্রথমে নেপালের হাসপাতালে আনা হয়। তাঁরা সোমবারই বাড়ি ফিরেছেন। বিপ্লব বৈদ্য ও কুন্তল কাঁড়ার দল ৪ এপ্রিল কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা জয়ের উদ্দেশে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়, ফণী ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য তাঁদের শৃঙ্গজয় পিছিয়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.