আরসিবি: ১৫৮/৬ (মনদীপ-৫২, হেড-৭৫*)
কেকেআর: ১৫৯/৪ (নারিন-৫৪, লিন-৫০)
৬ উইকেটে জয়ী কেকেআর
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস চলাকালীন বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু প্রবল ঝড় উঠল কেকেআর-এর ব্যাটিংয়ের সময়। আর সেই ঝড়ে তছনছ হয়ে গেল বিরাট সাম্রাজ্য। চার আর ছক্কার বন্যা বইল চিন্নাস্বামীতে। যত ওভার গড়াল ততই মাথা হেঁট হয়ে গেল বিরাট, গেইল, ডিভিলিয়ার্সদের। ইডেনে সবচেয়ে কম ৪৯ রানে অলআউট হয়ে লজ্জাজনকভাবে পরাস্ত হয়েছিল আইপিএল-এর তালিকায় সবচেয়ে নিচে থাকা আরসিবি। ইতিমধ্যেই প্লে অফে পৌঁছনোর আশা শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের। এদিন ছিল ঘরের মাঠে নিজেদের শততম ম্যাচে সম্মানরক্ষার লড়াই। সে যুদ্ধেও ডাহা ফেল করল বিরাট অ্যান্ড কোম্পানি। ২০১৪ সালে যে স্টেডিয়ামে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছিল কেকেআর, সেখানেই এবারের প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলল তারা।
Match 46. It’s all over! Kolkata Knight Riders won by 6 wickets https://t.co/tLEi7aP53n #RCBvKKR
— IndianPremierLeague (@IPL) May 7, 2017
লাগাতার হারের ফলে ব্যাঙ্গালোরের আত্মবিশ্বাস এক্কেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সে কথা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। বলেছিলেন, “কোনওভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছি না। যা-ই করছি, কাজে দিচ্ছে না।” তা সত্ত্বেও এদিন বৃষ্টি বিঘ্নিত ইনিংসের শেষে আরসিবি-র স্কোরবোর্ড অন্যান্য দিনের তুলনায় যথেষ্ট ভদ্রস্ত ছিল। বৃষ্টি হওয়ায় আউটফিল্ড স্লো হয়ে যাবে। এমন উইকেটে পরে ব্যাট করতে নেমে গম্ভীরদের যে সমস্যায় পড়তে হতে পারে, তেমনইটাই মনে করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সকলের আন্দাজ ভুল প্রমাণ করলেন সুনীল নারিন। রবিবারের পারফরম্যান্সের পর তাঁকে বাইশ গজের সুপারম্যান বললে এতটুকু অত্যুক্তি করা হবে না। বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির ঝড় তুললেন মাঠে। ধারাভাষ্যকর বলে উঠলেন, “দেখে মনে হচ্ছে পুরনো ম্যাচের হাইলাইটস দেখছি।” ইডেনে লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল ব্যাঙ্গালোর। আর এদিন আসিবি-র বোলারদের মাটিতে মিশিয়ে দিলেন নারিন। মাত্র ১৫ বলে অর্ধ-শতরান করে আইপিএল-এ নয়া ইতিহাস গড়লেন ক্যারিবিয়ান তারকা। আইপিএল-এর দশটি মরশুমে যা আগে কখনও হয়নি। নন-স্ট্রাইকার এন্ডে থাকা ১৯ বলে ৫০ রান করা ক্রিস লিনের রেকর্ড তাঁর সামনেই ভাঙলেন নারিন।
ওয়ান্ডার স্পিনার নারিনকে ব্যাটসম্যান হিসেবে আবিষ্কার করেছিলেন নাইট নেতা গম্ভীর। তাঁর সেই আবিষ্কার আজ টুর্নামেন্টের তাবড় তাবড় দামী ব্যাটসম্যানকে লজ্জায় ফেলে দিল। গোটা টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত একবারও জ্বলে উঠতে পারেননি বিপক্ষ দলের তিন সেরা তারকা। গেইল, বিরাট ও ডিভিলিয়ার্স। তাঁদের বিরুদ্ধেই নজির গড়লেন নারিন। আর চোট সারিয়ে দলে ফিরেই ৫০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে গেলেন লিন। গ্র্যান্ডহোম, গম্ভীরকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন নেগি, চাহলরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।
আইপিএল দশম মরশুমের কথা হয়তো কখনওই মনে রাখতে চাইবেন না বিরাট। অগণিত আরসিবি সমর্থকের দিকে তাকিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার মতোও আর যেন মানসিকতা থাকল না ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেনের। তাঁর ও তাঁর দলের থেকে এমন হতশ্রী পারফরম্যান্স আশা করেননি ভক্তরা। এদিন মনদীপ সিং ও ট্রাভিস হেডই দলকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন। বাকিরা ১০ -এর গণ্ডিও পেরোতে পারলেন না। উমেশ যাদব তিনটি ও নারিন দুটি উইকেট তুলে নেন।
১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলল নাইটবাহিনী। মোহালি উড়ে যাওয়ার আগে রবিবাসরীয় সন্ধেয় কলকাতাবাসীর মুখে হাসি ফোটালেন গম্ভীর।
ছবি সৌজন্যে BCCI
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.