Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘ত্রিপাঠীর হাতুড়ির সামনে চরম অসহায় লাগছিল’

সংবাদ প্রতিদিন-এর জন্য বিশেষ আইপিএল কলাম লিখছেন গৌতম গম্ভীর৷

KKR Diary: Gautam Gambhir thinks 'The IPL Generation' will dominate Indian Batting
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 5, 2017 5:24 am
  • Updated:July 11, 2018 10:51 am  

সংবাদ প্রতিদিন-এর জন্য বিশেষ আইপিএল কলাম লিখছেন গৌতম গম্ভীর৷ কেকেআর অধিনায়কের জানাচ্ছেন, পরের দু’দশক ভারতীয় ব্যাটিংকে শাসন করবে ‘দ্য আইপিএল জেনারেশন’৷ এর পাশাপাশি রবিন উথাপ্পা এবং ক্রিস লিন কেমন আছেন? সেটাও জানাতে ভুললেন না।

ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিভিন্ন প্রজন্মকে আমি দেখছি নানান লেভেল দিয়ে ভাগ করা হয়ে থাকে৷ আমার জন্ম ১৯৮১-তে৷ আর আমার ক্রিকেটজীবন শুরু ‘সুনীল গাভাসকর প্রজন্ম’কে দেখে৷ যে প্রজন্মের প্রথম বিবাহ সবসময় কোচিং ম্যানুয়েলের সঙ্গে হয়েছে৷ এরা সাইড-অন স্টান্স, মাথাকে সম্পূর্ণ সোজা রাখা, স্ট্রেট ব্যাটে খেলা, সঙ্গে বাঁ-কাঁধের উপর ভারসাম্য রেখে শটের পর নিখুঁত ফলো থ্রু-র জন্য জীবন পণ করতেও রাজি থাকত৷ তারপর এল ‘শচীন তেন্ডুলকর প্রজন্ম’৷ আমিও সেই প্রজন্মের৷ আমরা বিশ্বাস করি বল পিছু রানের স্ট্রাইক রেটে৷ বোলার্স ব্যাক ড্রাইভ প্রায় আর্কাইভে ঢুকে গিয়েছে৷ উঁচু শট সর্বদা ‘ওয়েলকাম’ পেয়েছে৷ তেন্ডুলকরের মতো বটম-হ্যান্ড গ্রিপ কারও মাথাব্যথা ঘটায় না৷ কিংবা কোচিং ম্যানুয়েলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অন্য কোনও ইমপ্রোভাইজেশন!

Advertisement

[মিনি ট্রাক উল্টে উত্তরপ্রদেশে মৃত ১৪]

আইপিএলের বয়স এখন ১০ বছর৷ আর আমার নিশ্চিত ধারণা, আগামী দু’দশক ভারতীয় ব্যাটিংকে শাসন করবে ‘আইপিএল প্রজন্ম’৷ মানে ঋষভ পন্থ, সঞ্জু স্যামসন, নীতিশ রানা, হার্দিক পাণ্ডিয়া মার্কা ভয়ডরহীন আইপিএল ব্র্যান্ড ক্রিকেট আর কী! ওদের ট্যাটু করা বাইসেপগুলোর সঙ্গে চমৎকার মানানসই সাদা বলগুলোর গ্যালারিতে মুহুর্মুহু উড়ে যাওয়াটা৷ ওদের কিছু উদ্ভাবনী শট কোচিং ম্যানুয়েলকে যেন ভেংচি কাটে! যে ভঙ্গিতে ওরা ভয়ডরহীন, নতুন ভারতবর্ষকে উপস্থাপিত করছে, যেখানে লক্ষ্যে পৌঁছতে সমস্ত কিছু দাঁও-তে লাগিয়ে দেওয়া দস্তুর৷ যেখানে কোনও শৃঙ্গ আর টপকানো অসম্ভব নয়৷ সেই তালিকায় আর একটা নাম– রাহুল ত্রিপাঠী৷ রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসের ওপেনার৷ বুধবার ওর ব্যাটের উল্টোদিকে আমরা পড়ে গিয়েছিলাম৷ যে ত্রিপাঠী অনবদ্য৷ যে ত্রিপাঠী প্রতিটা বল মারছিল সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আর চূড়ান্ত ফিটনেসে৷ আমার মতে, নাথান কুল্টার-নাইলকে লং অফের উপর দিয়ে মারা ত্রিপাঠীর ওভার বাউন্ডারিটা কেবল একটা ক্রিকেটীয় শটই নয়, একটা বার্তাও!

[প্রকাশ্যে মদ্যপান নিষিদ্ধ গোয়ায়, আটক ৬]

টানা দু’টো ম্যাচে আমরা হারলাম বিপক্ষের মাত্র একজন ব্যাটসম্যানের কাছে৷ হায়দরাবাদে সেই ব্যাটসম্যানের নাম ছিল ডেভিড ওয়ার্নার৷ গত রাতে ইডেনে রাহুল ত্রিপাঠী৷ দু’টো ক্ষেত্রেই আমাদের বোলিং প্ল্যান মুখ থুবড়ে পড়েছে৷ স্বীকার করতেই হবে, আমি নিজেও অসহায় হয়ে পড়েছিলাম৷ আমরা গতি দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম৷ গতির হেরফের ঘটিয়ে চেষ্টা চালিয়েছিলাম৷ স্পিন দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম৷ কিন্তু কিছু কারণে কোনও চেষ্টাই কাজে আসেনি৷  একসময় নিজেদের খুব অসহায় মনে হচ্ছিল। আসলে বুধবার এমনই একটা দিন গেল, যেদিন কোনও কিছুই আমাদের পক্ষে যায়নি৷ক্রিকেটে কোনও সময়টাই আউট হওয়ার জন্য সঠিক নয়৷ তবু মনে হয়, সুপারজায়ান্টসের বিরু‌দ্ধে আমি বড় শট খেলার জন্য একটা ভয়ংকর ভুল সময়কে বেছেছিলাম৷ তবে আমি মনে করি, কালকের ম্যাচের আরও বড় টার্নিং পয়েন্ট মণীশ পাণ্ডের আউট হওয়াটা৷ ওই সময় ও সত্যিই দুর্দান্ত ব্যাট করছিল৷ ১৮০-র উপর নিয়ে চলে যেতে পারত কেকেআরকে৷ তার বদলে আরও একবার ভুল সময়ে আউট মণীশও৷

[বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা একশো শতাংশ, রাজ্যে এসে বললেন হর্ষ বর্ধন]

এরপরও ম্যাচটাকে আমরা শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পেরেছি ভেবে একটু ভাল লাগছে৷ সঙ্গে ভাল খবর, উথাপ্পা আজ একদম ভাল আছে৷ রবিবার আমাদের পরের ম্যাচেই খেলবে৷ এর থেকেও বড় খবর, ক্রিস লিন বৃহস্পতিবার আরেক দফা প্র্যাকটিস করেছে৷ বিশাল চেহারার কুইন্সল্যান্ডারকে দেখে মনে হচ্ছে, ফিটনেসের কাছাকাছি চলে এসেছে৷ আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, চিন্নাস্বামীর পাটা উইকেটে লিনকে নামাতে পারলে সেটা আমাদের জন্য দারুণ হবে৷ ও হ্যাঁ, আরেকটা কথা ক্রিস লিন হল আইপিএল প্রজন্মের ব্যাটসম্যানদের একজন, যার কোচিং ম্যানুয়েলের প্রতি কিন্তু বিন্দুমাত্র ভক্তি-শ্রদ্ধা নেই!

(দীনেশ চোপড়া মিডিয়া)

[শ্রীনগরে সেনার হাত ফসকে পালাল জুনেইদ মাট্টু-সহ ৬ লস্কর জঙ্গি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement