সোম রায়: কলকাতার মাঠে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন খালিদ জামিল। গত বছর লাল-হলুদের শিবিরে তিনিই ছিলেন প্রধান কান্ডারি। এবার এলেন ডুবন্ত তরীকে ভাসমান রাখতে। রাত পোহালেই মিনার্ভার সঙ্গে খেলা। অথচ, ২৪ ঘণ্টা আগেই দায়িত্ব নিয়ে কী করে দলকে সামাল দেবেন, তাই বুঝে উঠতে দিশাহারা।
ঠিক ছিল সকাল ১০টায় মোহনবাগান মাঠে প্র্যাকটিস শুরু হবে। কিন্তু তাঁকে দেখা গেল সকাল ৭.৩০টার মধ্যে মাঠে ঢুকে পড়েছেন। যদিও প্রথমে তিনি সহ-সচিব সৃঞ্জয় বোসের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনা করেন। সেখানে তখন কেউ ছিলেন না। পরে ডিফেন্ডারদের নিয়ে আলাদা বৈঠক করেন তিনি। মধ্যা কথা খালিদ জামিল কিছু সময়ের মধ্যেই ফুটবলারদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলের মধ্যে আগে ডিসিপ্লিন। পরে তিনি ফুটবলারদের বলেন, নিজেদের মধ্যে প্রত্যেকে যেন আলোচনা করে। কোথায়, কার কী ভুল হচ্ছে, না হচ্ছে, যেন সতীর্থদের কাছ থেকেই প্রত্যেকে জেনে নেয়। ১০টার সময় প্র্যাকটিসে নামার কথা থাকলেও অতিরিক্ত দশ মিনিট সময় দেন তিনি। তাঁর নির্দেশ ছিল, ১০.১০ মিনিটের মধ্যে পুরো দল যেন মাঠে চলে আসে।
[শংকর বিদায়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নয়া কোচ বেছে নিল মোহনবাগান]
ফুটবলারদের মধ্যে আলোচনায় সোনি নর্ডি ছিলেন মধ্যমণি। দলের ভরাডুবির কারণ জানার জন্য প্রত্যেকের কাছে ব্যাখ্যা চান সোনি। হাইতি ফরোয়ার্ড বুঝিয়ে দেন, যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এবার প্রত্যেককেই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আলাদা করে শপথ নিতে হবে। তাতে সকলে সোনির কথায় সায়ও দিয়েছেন। প্রত্যেকেই বুঝিয়েছেন, দলের ব্যর্থতার জন্য তাঁরা সকলেই দায়ী। এদিন সহ-সচিব তিন বিদেশিকে আলাদা করে ডেকে নেন। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের জন্য প্রত্যেককেই বকাঝকা করেন তিনি। সৃঞ্জয় নাকি এমনও বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর মোহনবাগান তাঁদের রাখবে কিনা, তা নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবে। ডিকা-ইউটারা সরাসরি স্বীকার করেছেন, সতি্যই তাঁদের জন্য দলের এই ভরাডুবি।
মোহনবাগান যেমন কোচ বদলের প্রেক্ষাপটে দারুণ সমস্যায় পড়েছে, উলটোদিকে চোট আঘাতে জর্জরিত মিনার্ভা। তাদের দুই বিদেশি ডিফেন্ডার বাদে আর কোনও বিদেশিকে প্রথম একাদশে দেখা যাবে না। এটা অবশ্যই মোহনবাগানের কাছে প্লাস পয়েন্ট। তবে ম্যাচের আগেই সাংবাদিকদের কাছে বাগানের নতুন কোচ জানিয়ে দিলেন, এখন তিনি আলাদা করে শুরু করতে আগ্রহী নন। দল যেমন চলছিল, তেমনই চলবে। “সময় যথেষ্ট কম। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মিনার্ভার সঙ্গে খেলতে নামছে মোহনবাগান। সুতরাং এই কম সময়ের মধ্যে দলকে নতুন করে সাজানো যায় না। তাই ছেলেদের বলেছি, তোমরা এতদিন যেভাবে খেলে এসেছো, সেই খেলাই তুলে ধরার চেষ্টা করো। তাহলেই চলবে। আমি ফুটবলারদের এও বলেছি, তোমরা প্রত্যেকেই পেশাদার। তোমরা ভাল মতো জান, কোথায় কীভাবে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে বেরিয়ে আসতে হয়।” বললেন খালিদ। মিনার্ভা কোচ জানিয়ে দিয়ে গেলেন, মোহনবাগানের এই কোচ বদল তাঁদের কাছে যথেষ্ট চিন্তার। যেহেতু প্রত্যেকেই মেলে ধরার চেষ্টা করবে।
[লাগাতার ব্যর্থতার জের, পদত্যাগ করলেন মোহনবাগান কোচ শংকরলাল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.