Advertisement
Advertisement

ভুলে ভরা পাঠ্যবইয়ে সিন্ধু হয়ে গেল কমনওয়েলথ পদকজয়ী

১৮৫ জনের কমিটির 'হাতযশ'।

Karnataka 'textbook of errors' parks row
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 6, 2017 1:31 pm
  • Updated:July 13, 2018 6:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পি ভি সিন্ধু। তিনি নাকি কমনওয়েলথে পদক পেয়েছেন। সাইনা নেহওয়াল বলে দেশে কোনও শাটলারই নাকি নেই। ওই খেলোয়াড়ের নাম হবে সানিয়া নেহওয়াল। মশকরা নয়, এমনটাই বলছে কর্নাটকের পাঠ্যবই। ভুলের বিলাস এখানেই শেষ নয়। কখনও পাতার নম্বরে গণ্ডগোল, কখনও সাধারণ বানানের ভুল। চাপে পড়ে সাফাই দিতে গিয়ে মুখ আরও পুড়েছে কর্নাটকের শিক্ষা দপ্তরের।

[জানেন, কেন এই ভারতীয়র কোনও নাম নেই?]

শিক্ষায় গৈরিকীকরণ করেছে বিজেপি। এই অভিযোগে কর্নাটকের কংগ্রেস শাসিত সরকার কয়েক বছর আগে পাঠ্যবই খোলনলচে বদলানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এর জন্য ২৭টি কমিটি গঠন হয়। তৈরি হয় ১৮৫ জনের দল। যারা ২ বছর ধরে নতুন বই তৈরিতে হাত লাগায়। মণ মণ ঘি ঢালার পর যে বই বের হল তা দেখলে বলবেন এমন কাণ্ড কী ঘটানো সম্ভব। হ্যাঁ, সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন কর্নাটকের বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের হাতযশে পাঠ্যপুস্তকে বলা হচ্ছে, পি ভি সিন্ধু অলিম্পিকে কোনও পদকই পাননি। রিওতে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে রুপো জয়ী সিন্ধুকে বলা হয়েছে তিনি কমনওয়েলেথে দুটি মেডেল পেয়েছেন। অলিম্পিকের তথ্যের ভুল নয় আপনি মেনে নিলেন পাঠ্য পুস্তক কমিটির কল্যাণে কমনওয়েলথ বানানেও গণ্ডগোল হয়েছে। Commonwealth এর বদলে রয়েছে ‘Common welth’। সিন্ধুর পদ্মশ্রী পুরস্কার লিখতে গিয়েও ভুল। Padma Shri -র জায়গায় লেখা হয় ‘Padmashree’। সিন্ধুর মতো আরও এক হায়দরাবাদি শাটলার সাইনা নেহওয়ালের ক্ষেত্রেও অবজ্ঞা কম হয়নি। শাটলার নিয়ে একটি চ্যাপ্টারে সাইনা নেহওয়ালের বদলে একাধিকবার সানিয়া মির্জার নাম বলা হয়েছে। কর্নাটকের ইতিহাস বইও কম যায় না। সেখানে ভারতে বিদেশিদের আগমন নিয়ে আলোচনার সময় Persian এর বদলে লেখা হয়েছে ‘Presian’।

Advertisement

[ডায়েটের মাঝেও ১৫ রকমের বিরিয়ানি খেতেন বাহুবলী প্রভাস!]

পাতার ভুলও চোখে পড়ার মতো। একটি বইয়ে ২৪ পাতার পর আচমকা চলে এসেছে ৭৫ নম্বর পাতা। মাঝখানের পাতাগুলি একেবারে উধাও। কিছু কিছু পাতা আবার স্রেফ সাদা। এমনকি কোনও কোনও লেখকের গল্প উদোর পিণ্ডি বুধোর মতো অন্যের ঘাড়ে চেপেছে। মুন্সি প্রেমচাঁদের একটি গল্পের নাম রাখা হয়েছে ‘কাশ্মীর অ্যাপল’। গেরুয়া রুখতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসও বাদ পড়েছে। ব্যাকরণগত, ছবি-সহ আরও কিছু ভুল ধরলে তা নিয়ে আস্ত বই বের হয়ে যেতে পারে। কর্নাটকের শিক্ষা দফতরের এই কীর্তিতে ক্ষুব্ধ অভিভাবক এবং একাধিক স্কুল। তাদের বক্তব্য, এধরনের তথ্য পড়লে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ একেবারে অন্ধকার। মাথা হেঁট হয়ে গেলেও মচকাচ্ছে না কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সরকার। শিক্ষা দফতরের সাফাই কন্নড় থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে গিয়েই এই বিভ্রান্তি।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement