দুলাল দে: তাঁরা এলেন, দেখলেন এবং জয় করে নিলেন। জেসন কামিন্স-আর্মান্দো সাদিকু এবং অনিরুদ্ধ থাপা বিরতিতে মাঠে নামলেন, তাঁদের দেখে গ্যালারি উত্তাল হল। মোহনবাগান-কালীঘাট এমএস (Mohun Bagan-Kalighat MS) ম্যাচ তখন বিরতিতে। সেই সময়ে খেলার ফল ১-১। আর বিরতিতেই মাঠে এলেন নতুন মরশুমের তিন তারকা। জেসন কামিন্স, আর্মান্দো সাদিকু, অনিরুধ থাপাকে স্বাগত জানাল ক্লাব। সমর্থকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হল। আর তাঁদের উপস্থিতি মন জিতে নিল মোহন সমর্থকদের।
ঘরের মাঠে খেলা। সমর্থক ঠাসা গ্যালারি। উচ্ছ্বাস, আবেগে ফুটছেন মোহন সমর্থকরা। এদিকে আকাশ ভেঙে নেমেছে বৃষ্টি। এমন আবহে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে কামিন্স (Jason Cummings), সাদিকু (Armando Sadiku) এবং অনিরুদ্ধ (Anirudh Thapa) মাঠে নেমে পড়লেন। গোটা মাঠ ঘুরলেন তাঁরা। তাঁদের দেখে উচ্ছ্বসিত সমর্থকরা। সবুজ-মেরুনের নব্য তারকারা বল মারলেন গ্যালারিতে।
ভারতীয় ফুটবলে এমন ঘটনা কি আগে কখনও ঘটেছে! স্মরণকালের মধ্যে এমন দৃশ্য দেখেনি ময়দান। শহরে সদ্য পা রেখে দলের খেলা দেখতে চলে এসেছেন মাঠে, এমন দৃশ্য দেখেছে ফুটবলের মক্কা। কিন্তু খেলার বিরতিতে স্বাগত জানানো হচ্ছে নতুন তারাদের, সমর্থকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া একেবারেই নতুন। এমন দৃশ্য দেখেনি ময়দান। দেখেনি ভারতীয় ফুটবলও।
তিন তারা-কামিন্স-সাদিকু এবং অনিরুদ্ধ বল নিয়ে শট করলেন। তাঁদের আরও সামনে থেকে দেখার জন্য, আরও কাছে পৌঁছনোর জন্য কিছু দর্শক মাঠেও ঢুকে পড়েছিলেন। আবেগ মাখা এক বিকেল মোহনবাগান মাঠে। প্রেস বক্সে ছিলেন মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। মরশুমের শুরুতেই এই বাঁধ ভাঙা আবেগ যে আরও খরস্রোতা নদী হয়ে উঠবে কামিন্সরা মাঠে নামলে, তা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.