কেরালা ব্লাস্টার্স: ১ (রফি) পেনাল্টি – ৩
অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা: ১ (সেরেনো) পেনাল্টি – ৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্যালারি ভর্তি দর্শক৷ টানটান উত্তেজনা৷ রবিবার কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে রূদ্ধশ্বাস একটি ফাইনালের সাক্ষী থাকলেন ৬০ হাজার দর্শক৷ এদিন দু’বছর আগের আইএসএল ফাইনালের স্মৃতি ফিরল কোচিতে৷ সেবার মুম্বইয়ে এই কেরলের বিরুদ্ধেই রফিকের একমাত্র গোলে প্রথমবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের উদ্বোধনী ট্রফি ঘরে তুলেছিল অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা৷ সেই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটল৷ দ্বিতীয়বারের জন্য আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হল কলকাতা৷
এটিকে কোচ মোলিনা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কেরলের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণ শানাবেন৷ তেমনটাই হল৷ গোলের মুখ খুলে কেরলের আত্মবিশ্বাসে জোর ধাক্কা দিতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপালেন হিউম, পোস্তিগারা৷ উল্টোদিকে কেরলও কম গেল না৷ এটিকে রক্ষণে বারবার আঘাত হানলেন রফি, বেলফোর্টরা৷ ফল মিলল ৩৭ মিনিটে৷ মেহতাবের কর্নার থেকে মহম্মদ রফির মাপা হেডে এগিয়ে গেল শচীন তেণ্ডুলকরের দল৷ গোলের পর চনমনে ফুটবলাররা আক্রমণে আরও একটু ঝাঁঝ বাড়িয়ে দেন৷ কিন্তু কলকাতাও নাছোড়বান্দা৷ ৭ মিনিট পর ফের একটা ডেডবল সিচুয়েশন৷ কর্নারের দৌলতে এবার ম্যাচে ফিরল এটিকে৷ প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে ডাউটির নিখুঁত কর্নার থেকে দুরন্ত হেডে কলকাতাকে সমতায় ফেরালেন পর্তুগালের সেরেনো৷ কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় কোথায় যেন খেই হারিয়ে গেল৷ নির্ধারিত সময়ে আর গোলই এল না৷
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমজমাট হয়ে উঠল অতিরিক্ত সময়৷ কিন্তু খেলার মীমাংসা হল না৷ পেনাল্টি শুটআউটে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হল৷ তবে শুরুতেই হিউম পেনাল্টি মিস করলে মাথায় হাত পড়ে যায় কলকাতাবাসীর৷ শুটআউটের মোড় ঘুরল সেভজিত দেবজিতের পায়ের টাচে৷ কেট্রিকের শট বাইরে বেরিয়ে গেল৷ শেষে জুয়েল রাজার শটে জয় নিশ্চিত হল৷ এটিকে’র প্রাক্তন কোচ অ্যান্তোনিও হাবাসকে এরচেয়ে ভাল উপহার আর কী-ই বা দিতে পারতেন মোলিনা৷
শচীন তেণ্ডুলকর থেকে অমিতাভ বচ্চন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে নীতা আম্বানি- কোচির স্টেডিয়ামে এদিন যেন চাঁদের হাট বসেছিল৷ কিন্তু ঘরের মাটিতে সেই দাদার কাছে ফের হারতে হল ছোটবাবুকে৷ ৭৯ দিনের লম্বা টুর্নামেন্টের যবনিকা পতন ঘটল কলকাতার জয় দিয়ে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.