কেকেআর: ১৮৫/৮ (কার্তিক-৫০, রাসেল-৬২)
দিল্লি ক্যাপিটলস: ১৮৫/৬ (পৃথ্বী- ৯৯, শ্রেয়াস-৪৩)
সুপার ওভারের পর জয়ী দিল্লি ক্যাপিটলস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলকে কেন গেম অব মার্জিনস বলা হয়, তা শনিবারের ম্যাচ দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। টানটান উত্তেজনা। শেষ বল পর্যন্ত সাসপেন্স। লড়াই যখন প্রিন্স বনাম বাদশার, তখন ক্লাইম্যাক্স অতিনাটকীয় না হলে কি জমে? সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর দিয়ে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ পৌঁছে গেল সুপার ওভারে। নির্ধারিত কুড়ি ওভারের শেষ বলে দিল্লির প্রয়োজন ছিল দু’রান। কিন্তু হল এক। আর তাতেই ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। যেখানে প্রথমে ব্যাট করে ১০ রান করে শ্রেয়সের দিল্লি। কিন্তু রাবাদার অবিশ্বাস্য ওভারে সে রানও তুলতে পারল না কেকেআর। রাজধানীতে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দাদার বিরুদ্ধেই থামল কার্তিকের বিজয়রথ।
নাইট বোলারদের তুলে তুলে ছক্কা হাঁকাচ্ছেন পৃথ্বী শ এবং শ্রেয়াস আইয়ার। আর দিল্লির ডাগআউটে বসে হাততালি দিচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এ দৃশ্য কলকাতাবাসী তথা বাঙালির পক্ষে মেনে নেওয়া যে কতটা কঠিন, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। কিন্তু দিনের শেষে সেই প্রিয় দাদার মুখের চওড়া হাসি দেখে যেন পছন্দের দলের হারের কষ্টটাও মুছে গেল নাইট সমর্থকদের। ঘরের মাঠে টানা দু’ম্যাচে জয়ের পরও হ্যাটট্রিকটা হল না বাদশার দলের। তবে দুর্দান্ত একটা ম্যাচের সাক্ষী থাকলেন ক্রিকেটাপ্রেমীরা।
পৃথ্বী শ নয়, শনিবার ফিরোজ শাহজুড়ে চলল পৃথ্বী শো। যে শো চেটেপুটে উপভোগ করলেন দর্শকরা। তিনি কেন শচীন তেণ্ডুলকরেরও ফেভরিট, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন তরুণ ক্রিকেটার। কী দুর্দান্ত টাইমিং, কী অসাধারণ টেকনিক। এমন ব্যাটসম্যানের উপরই তো ভরসা করতে চান কোনও দলের অধিনায়ক। নিজের ধৈর্য ও ফিনিশিং টাচ দিয়ে তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদেরও যেন শিক্ষা দিয়ে গেলেন শ। এবারের আইপিএলের ট্যাগ লাইন, ‘গেম বানায়েগা নেম’। অর্থাৎ পারফরম্যান্সেই মিলবে পরিচিতি। পৃথ্বী যেন সেই ট্যাগ লাইনই মনে করিয়ে দিলেন। তাই তো দীনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেলদের ইনিংসকে ফিকে করে দিলেন। তবে মাত্র এক রানের জন্য সেঞ্চুরিটা অধরাই থেকে গেল পৃথ্বীর। ৫৫ বলে ৯৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তবে পৃথ্বী একা নন, নজর কাড়লেন অধিনায়ক শ্রেয়সও। দাদার দাওয়াই? তা আর বলতে! কোন পরামর্শে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করা যায়, তা সৌরভের চেয়ে ভাল আর কে-ই বা জানেন। উপদেষ্টা হিসেবে সৌরভকে বেছে নেওয়ার এদিন পূর্ণ মূল্য পেল দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
তবে নীতিশ রানা থাকতেও অনভিজ্ঞ নিখিল নায়েককে কেন ওপেন করতে পাঠালেন কার্তিক? চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম হারের পর এ প্রশ্নই উঠছে। হার্সাল প্যাটেল, রাবাদারা শুরুতেই কেকেআরের ব্যাটিং অর্ডারে ভাঙন ধরিয়ে দেন। তখন থেকেই ছন্নছাড়া দেখাচ্ছিল নাইটবাহিনীকে। রাসেল দুর্দান্ত ব্যাটিং করে মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু শ’য়ের শো এবং রাবাদার সুপার বোলিংয়েই সব শেষ। কোটলায় স্বপ্নের ম্যাচে এদিন ট্র্যাজেডি একটাই, টুর্নামেন্টের কনিষ্ঠতম শতরানের মালিক হওয়া হল না ম্যাচের নায়ক পৃথ্বীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.