মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২১০/৬ (সূর্যকুমার-৩৬, রোহিত-৩৬ ইশান-৬২)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১০৮/১০ (লিন-২১, রানা-২১)
১০২ জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কার্তিকদের সমর্থনে ইডেনকে হাউসফুল করে তুলেছিলেন দর্শকরা। নিজের দলের হয়ে গলা ফাটাতে ব্যস্ত সিডিউল থেকে সময় বের করে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন শাহরুখ খানও। বৃষ্টিরও নাম গন্ধ ছিল না শহরে। এতকিছু নাইট শিবিরের পক্ষে ছিল। তা সত্ত্বেও এবারও মুম্বই গাঁট কাটল না কলকাতা নাইট রাইডার্সের। শুধু হার নয়, বুধ-রাতে রোহিত শর্মাদের কাছে লজ্জাজনকভাবে পরাস্ত হয়ে প্লে-অফের রাস্তা কঠিন করে ফেলল কিং খানের দল।
শেষবার সেই ২০১৫ সালের এপ্রিলে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখেছিলেন। তারপর থেকে আইপিএলের ইতিহাসে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। তা সে ইডেন হোক কিংবা ওয়াংখেড়ে। গত রবিবার তো সুবিধাজনক জায়গা থেকেও ম্যাচ হেরেছিলেন কার্তিকরা। তাই এদিন ছিল বদলার সুবর্ণ সুযোগ। গত ম্যাচের ভুল ত্রুটি শুধরেও নিয়েছিলেন নাইট সেনাপতি। নারিনকে ওপেনিংয়ে ফেরানো, বোলিংয়ে পরিবর্তন, সবরকম চেষ্টাই করেছিলেন তিনি। কিন্তু নিট ফল সেই শূন্য। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত একটা ম্যাচ মুম্বই ভক্তদের উপহার দিল রোহিত অ্যান্ড কোং। আর তাই এ মরশুমের মতো রোহিতদের বিরুদ্ধে জয় অধরাই থেকে গেল নাইটদের।
এ ম্যাচের একটা ইনিংস দেখেই বলে দেওয়া যায় ম্যাচের ভবিষ্যৎ। যদি না কোনও ব্যাটসম্যান কোনও অঘটন ঘটান। এদিনও তেমন ম্যাচটি একপেশেই হয়ে গিয়েছিল। পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করার চিন্তা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নামলে যে কোনও ব্যাটসম্যানই চাপে থাকেন। এমন ফরম্যাটে ক্রিজে সেট হওয়ার জন্য তখন বল নষ্ট করার কোনও উপায় থাকে না। ওপেনারদের মাথায় ঘোরে প্রথম বল থেকেই শুধু টেনে মারতে হবে। আর সেটি করতে গিয়ে শুরুতেই নিজের উইকেটটি খুইয়ে বসলেন সুনীল নারিন। ২১১ রানের লক্ষ্যপূরণের জন্য অন্তত একটা দুর্দান্ত পার্টনারশিপের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ওই যে, স্কোরবোর্ডে এত বড় টার্গেটই ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসে থাবা বসিয়েছিল। তাই হারার আগেই হেরে বসেছিলেন কার্তিকরা। বড় শট হাঁকাতে গিয়ে একের পর এক উইকেট গেল কেকেআরের। আর নিজের প্রিয় মাঠে একপেশে ম্যাচ জিতে আইপিএল জমিয়ে দিলেন রোহিত শর্মা।
Rising up & above! 💪#CricketMeriJaan #KKRvMI #MumbaiIndians pic.twitter.com/GDUk7Spjtz
— Mumbai Indians (@mipaltan) May 9, 2018
কলকাতা তাঁকে কখনওই খালি হাতে ফেরায় না। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। প্লে-অফে যাওয়ার স্বপ্ন উজ্জ্বল করেই শহর ছাড়ছেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের নেতা রোহিত শর্মা। আর এই স্বপ্নকে যিনি এদিন আরও সহজ করে দিলেন তিনি অবশ্যই তরুণ ইশান কিষান। কী দুর্দান্ত সব শট খেলে মাত্র ২১ বলে ৬২ রান করে দলে নিজের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিলেন তরুণ ব্যাটসম্যান। শুধু তাই নয়, ১৭ বলে অর্ধ-শতরান পকেটে পুরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাইরন পোলার্ডের সঙ্গে যুগ্মভাবে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির মালিকও হয়ে গেলেন তিনি। ১১ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার চার নম্বরে উঠে এল মুম্বই। আর বিরাট ব্যবধানে হারায় একই পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে চলে গেল কেকেআর।
ছবি: অচিন্ত রায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.