কেকেআর: ২০০/৯ (রানা-৫৯, রাসেল-৪১)
ডিডি: ১২৯/১০ (ম্যাক্সওয়েল-৪৭, পন্থ-৪৩)
৭১ জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সাত বছর এই ইডেনই ছিল তাঁর ঘরের মাঠ। অনেক আবেগ, অনেক স্মৃতি জড়িয়ে ক্রিকেটের এই নন্দনকাননে। আর সেখানেই কিনা প্রতিপক্ষ ঝড় তুলল। ব্যাটে-বলে এক্কেবারে দিশেহারা করে দিল তাঁকে! গ্যালারির পরিবেশে যেখানে গম্ভীর ফিরে আসার মিঠে গন্ধ, সেখানেই বাইশ গজে তাঁর আবেগকে তছননছ করে দিলেন দীনেশ কার্তিক! দু’ম্যাচ পর গম্ভীরবাহিনীকে হারিয়েই জয়ের সরণিতে ফিরল কেকেআর।
Match 13. It’s all over! Kolkata Knight Riders won by 71 runs https://t.co/IwH2yc0c51 #KKRvDD
— IndianPremierLeague (@IPL) April 16, 2018
খাতায়-কলমে ম্যাচটা ছিল কলকাতা বনাম দিল্লির। কিন্তু আড়ালে চলছিল দুই নেতার লড়াই। যাঁর জুতোয় পা গলিয়েছেন কার্তিক, সেই গম্ভীরের বিরুদ্ধেই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। আর তাতে লেটার মার্কস নিয়ে উত্তীর্ণ হলেন নাইট শিবিরের নয়া নেতা। গম্ভীরের বিরুদ্ধে জয় যে এত সহজে আসবে, তা হয়তো নাইটদের অতি বড় ভক্তও ভাবেননি। যদিও অধিনায়কের মগজাস্ত্রের জোরের থেকেও এদিন কলকাতার ব্যাটে-বলে বেশি জোর ছিল। ক্রিস লিন থেকে নিতীশ রানা, আন্দ্রে রাসেলরা বিরাট রানে পৌঁছে দিল কেকেআরকে। তবে চেন্নাই ম্যাচেও স্কোরবোর্ডে এমন রানই জ্বলজ্বল করছিল। তাই বিপক্ষের সামনে পাহাড় প্রমাণ রান খাঁড়া করেও স্বস্তি ছিল না কার্তিকদের। কিন্তু এদিন দিল্লি দলে কেউ ব্রাভো হয়ে উঠতে পারেননি। বলা ভাল, কুলদীপ, মাভিরা কাউকে বড় রান করার সুযোগই দিলেন না। তাই আর অসাধ্যও সাধন হল না।
সোমবার ইডেনে যেমন কেকেআরের জয় দেখার অপেক্ষায় ছিলেন দর্শকরা, তেমন ছিল গম্ভীরের একটা লম্বা ইনিংস দেখার আকাঙ্খাও। হাজার হোক, এই নেতাই তো দু’বার কলকাতাকে আইপিএল ট্রফি এনে দিয়েছিলেন। তাই তাঁর প্রতি যে তিলোত্তমার ভালবাসা এতটুকু কমেনি, তা টের পাওয়া গেল তিনি মাঠে নামতেই। ‘গ..ম্ভী..র’ শব্দে গম্ভীরতা কাটিয়ে ফের ঘরের মাঠের আমেজই এদিন খুঁজে পেয়েছিলেন দিল্লির অধিনায়ক। কিন্তু সেই দলের জার্সি গায়ে সাধের ইডেনে আর জয়ের ইতিহাস রচনা করা হল না তাঁর। আর কার্তিকের সঙ্গে তাঁর সমীকরণ দাঁড়াল ওয়ান ইস্টু জিরো।
কেকেআরের ব্যাটিং নিয়ে সেভাবে প্রশ্ন না উঠলেও বোলিং বিভাগই চিন্তায় রেখেছিল অধিনায়ক-কোচকে। তবে এদিনের ম্যাচ তো শুধু স্কোরবোর্ডে জয় নয়, অনেক কিছু প্রমাণের লড়াই ছিল। আর সেই কারণেই জ্বলে উঠেছিলেন সুনীল নারিনরা। মাত্র ১৪.২ ওভারেই গুটিয়ে দিলেন ডেয়ারডেভিলসদের। আর গৌতমের (৮) উইকেটটি তুলে নিজের ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন তরুণ মাভি। তাঁদের দাপটে কার্যত একপেশে ম্যাচই পকেটে পুরে ফেলল কিং খানের দল। তবে গম্ভীর ছাড়াও এদিন আরও একজনের দিকে নজর ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। তিনি মহম্মদ শামি। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর পর এই প্রথম শহরে এসে সেভাবে নজর কাড়তে পারলেন না তিনি। একটি উইকেটই পান দিল্লি পেসার। তবে লড়াই এখনও বাকি। দিল্লিতে ফের সাক্ষাৎ হবে প্রাক্তনের সঙ্গে বর্তমানের। আইপিএলের সেই ক্লাইম্যাক্স শাহরুখের ছবির মতোই টান-টান হবে কিনা, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.