দিল্লি ডেয়ারডেভিলস: ২১৯/৪ (পৃথ্বী-৬২, শ্রেয়াস-৯৩*)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৬৪/৯ (গিল-৩৭, রাসেল-৪৪)
৫৫ রানে জয়ী দিল্লি ডেয়ারডেভিলস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৌতম গম্ভীর নেতৃত্ব ছাড়তেই দিল্লি দলের নারী নক্ষত্রই যেন পালটে গেল। গম্ভীরের উপস্থিতিতে যেন ডেয়ারডেভিলসের শনি ভারী হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার অদ্ভুতভাবে বদলে গেল ছবিটা। যে দলটার ব্যাটিং-বোলিং কোনও বিভাগই ক্লিক করছিল না, সেই দলের এদিন দাপট দেখে অবাক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও। কে বলবে এই দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের দায় মাথায় করেই নাকি সরে যেতে হয়েছে নেতাকে! দিল্লিবাসীকে দুর্দান্ত একটা ম্যাচ উপহার দিয়ে কেকেআরকে পরাস্ত করলেন শ্রেয়াস আইয়াররা। কলকাতায় এসে নিজের পুরনো দলের কাছে পরাস্ত হতে হয়েছিল গম্ভীরকে। মধুর প্রতিশোধ নিয়েই যেন গম্ভীরের
আক্ষেপ মিটিয়ে দিলেন দিল্লির তরুণ অধিনায়ক। আর ডাগআউটে বসে সেই ঘটনার সাক্ষী রইলেন খোদ গোতি।
আইপিএলের অত্যন্ত সফল এক অধিনায়ক যখন ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে যান, তখন তাঁর জুতোয় পা গলিয়ে কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায় উত্তরসূরির পক্ষে। বিশেষ করে নেতৃত্বে তিনি যদি হন আনকোড়া। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট হাতে শ্রেয়াস যা করলেন তা এককথায় অভাবনীয়। ৪০ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের মারকাটারি একটি ইনিংস খেলে রানের পাহাড় গড়ে দিলেন তিনি। গম্ভীর পরবর্তী ম্যাচের এমন দৃশ্য হয়তো দিল্লির অতি বড় ভক্তও ভাবেননি। কিন্তু গম্ভীরের না থাকাটাই বোধহয় দলকে তাতিয়ে দিয়েছিল। তারই প্রতিফলন দেখল কোটলা। তবে একটি ম্যাচ দেখেই শ্রেয়াসের অধিনায়কত্ব নিয়ে বিচার করার মানে হয় না। দলে যখন প্রত্যেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেন, তখন নেতার কাজটা এমনিই সহজ হয়ে যায়। কিন্তু এদিন ফের প্রশ্ন উঠে গেল কার্তিকের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। শেষ ওভারে শিবম মাভি! কেন?
Innings Break.
A fine innings by @PrithviShaw, followed by a stupendous knock of 93* by Shreyas propels the @DelhiDaredevils to a total of 219/4.
Stay tuned, chase coming up in a bit #DDvKKR #VIVOIPL pic.twitter.com/FDrconI9BI
— IndianPremierLeague (@IPL) April 27, 2018
ম্যাক্সওয়েল, শ্রেয়াসের মতো সেট ব্যাটসম্যানদের সামনে তরুণ একজনকে ফেলে দেওয়ার মানে বোঝা গেল না। ফল যা হওয়ার তাই হল। চাপের মুখে শেষ ওভারে ২৯ রান দিলেন মাভি। আর সেই দৌলতেই ১৯০ থেকে দিল্লি পৌঁছে গেল ২১৯ রানে। ১৯ ওভারও যখন জনসন দেওয়া হচ্ছে, তখন সুনীল নারিনকে দিয়ে শেষ ওভার কেন নয়? তিনি তো চার ওভার বলই করলেন না। স্পিনারদের জন্য আদর্শ কোটলার উইকেট। সেখানে কেন কুলদীপ যাদব, নারিনদের উপর ভরসা রাখতে পারলেন না কার্তিক? বোধগম্য হল না। শুভম গিলের উপরও যেন অকারণ চাপ তৈরি করা হচ্ছে। কঠিন পরিস্থিতিতে ছ’নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ভাল পারফর্ম করা একজন অনভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের পক্ষে বেশ কঠিন। এদিন তাও রাসেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে তোলার অনেকটাই চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ৩৭ রানে রানআউট হয়ে ফিরলেন। সে সময় রাসেলের পক্ষে আর কিছু করারও ছিল না। উলটোদিকে টেল এন্ডারদের নিয়ে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারির বন্যা বইয়ে দিলেও কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছনো মুশকিল নয়, ছিল অসম্ভব।
50-run partnership between the duo – @RealShubmanGill & @Russell12A. #DDvKKR pic.twitter.com/r55pv2GPm1
— IndianPremierLeague (@IPL) April 27, 2018
প্লে-অফে পৌঁছনোর রাস্তায় জোর হোঁচট খাওয়ার দিন অকল্পনীয় কামব্যাক করল লিগ তালিকার এক্কেবারে নিচে থাকা শ্রেয়াসের দিল্লি। সামনের পথটা আরও কঠিন হয়ে গেল কিং খানের দলের সামনে। তাই সাফল্য পেতে নাইট নেতা কার্তিককে আরও ভেবে-চিন্তে পা ফেলতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.