কেকেআর: ২০২/৬ (রাসেল-৮৮*, উথাপ্পা-২৯)
সিএসকে: ২০৫/৫ (ওয়াটসন-৪২, বিলিংস-৫৬)
৫ উইকেটে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এভাবেও ফিরে আসা যায়!
এ যেন মুম্বই ম্যাচের অ্যাকশান রিপ্লে। যখন সকলে ধরে নিয়েছেন ঘরের মাঠে জয় দিয়েই এবারের আইপিএল শুরু করবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই, ঠিক তখনই ওয়াংখেড়ের উপর দিয়ে বিদ্যুৎ খেলে গেল। ব্রাভো ম্যাজিকে ছাড়খাড় হয়ে গেল মুম্বইয়ের সাজানো সংসার। এদিনও ডেথ ওভারে নেমে ছক্কা হাঁকিয়েই কেকেআর ভক্তদের মনে ভয় ধরিয়ে দিলেন। আর সেই সঙ্গে একপ্রকার হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতিয়ে ফের নায়ক হয়ে উঠললেন ডোয়েন ব্রাভো।
What a thriller at Chepauk as @ChennaiIPL clinch a nail-biter in front of their home crowd beating @KKRiders by 5 wickets. @sambillings you beauty and what a finish from @imjadeja #VIVOIPL #CSKvKKR pic.twitter.com/cHOomMS3nX
— IndianPremierLeague (@IPL) April 10, 2018
লড়াইটা ছিল তারুণ্য বনাম অভিজ্ঞতার। কার্তিকের তরতাজা নেতৃত্ব বনাম মাহির মগজাস্ত্রের। কোহলির বিরুদ্ধে জয় হাসিল হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ক্যাপ্টেন কুলকে এত সহজে ‘চেট-মেট’ করা গেল না। দুবছর নির্বাসন কাটিয়ে উঠে হলুদ জার্সির নেতা হিসেবে ধোনিকে বেছে নিয়ে যে কোনও ভুল করেননি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা, সেটাই ফের স্পষ্ট।
স্কোরবোর্ডে যখন ২০২ রান জ্বলজ্বল করতে থাকে, তখন ব্যাট হাতে নামার আগেই রক্তচাপ বেড়ে যায় বিপক্ষের ওপেনারদের। যদিও এদিন হল খানিকটা উলটো। ওয়াটসন, রাইডু(৩৯) ভালই জানতেন শুরু থেকে মারকাটারি না খেললে এই রান তাড়া করে জেতা সম্ভব নয়। ‘হাম ভি কিসিসে কম নহি’ ভাব নিয়েই শুরুটা করেছিলেন তাঁরা। শুরুটা এভাবে না হলে হয়তো এই রানের পাহাড় তাড়া করা সম্ভব হত না। যদিও ওয়াটসন ফিরতেই এক ঝটকায় রান রেট অনেকখানি নেমে যায়। বিলিংস এসে ফের ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। আর ক্লাইম্যাক্সে আবার ‘চাম্পিয়ন’ সেই ‘ডিজে ব্রাভো’। তবে মধুরেন সমাপয়েৎ হল জাদেজার দুর্দান্ত ওভার বাউন্ডারি দিয়ে।
চিপক মানেই ঘূর্ণি পিচ। এই উইকেটে ১৩০ রানই জয়ের জন্য যথেষ্ট। ম্যাচের আগে পর্যন্তও এমন আলোচনাই চলেছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। ম্যাচের শুরুতে জাদেজা, হরভজনদের দাপট দেখে মনে হয়েছিল এ উইকেটে ফসল ফলাবেন স্পিনাররাই। কিন্তু তারপরই সব সমীকরণ পালটে গেল। ঘূর্ণি উইকেটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উঠল ঘূর্ণি ঝড়। বলা ভাল ‘রাসেল ঝড়’। ১১টি ছক্কা ও একটি চার হাঁকিয়ে ৩৬ বলে অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস নাইটদের জয়ের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিলেন একাহাতেই। তাঁকে আটকানোর সবরকম চেষ্টা চালান ক্যাপ্টেন কুল। স্বদেশি সতীর্থ ব্রাভোকেও বল করতে পাঠান। কিন্তু ফল হল উলটো। অনেকটা ক্ষুদার্থ সিংহের মুখে খাবার রেখে দেওয়ার মতো। চেনা বোলারকে বলে-বলে ছক্কা মারলেন রাসেল। তিন ওভারে ৫০ রান দিয়ে তখন বিধ্বস্ত ব্রাভো। কিন্তু সব শোধ তুলে নিলেন ব্যাট হাতে। দলের হয়ে তাঁর কেমিও ভূমিকাও যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাই প্রমাণ করলেন।
শেষ দুই বল পর্যন্ত ছিল টান-টান উত্তেজনা। কাকে ছেড়ে কাকে দেখবেন দর্শকরা। কার ইনিংসকে সেরার শিরোপা দেবেন। ভেবে কূল করে ওঠাই যেন অসম্ভব। রাসেল, ওয়াটসন, বিলিংস সকলেই এক সে বরকার এক। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের ইতি হল ঘরের দলের জয় দিয়েই। বিফলে গেল আন্দ্রে রাসেলের দুর্দান্ত অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস। এই জয়ই হয়তো একটু হলেও স্বস্তি দিল আইপিএলের প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠা বিক্ষোভকারীদের। কিং খানের মুখে হাসি ফুটল না ঠিক, তবে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে দুর্দান্ত একটি খেলা উপভোগ করলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.