Advertisement
Advertisement

Breaking News

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নাইটদের ধরাশায়ী করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

ঐতিহাসিক জয়ের পরের ম্যাচেই পরাস্ত কেকেআর।

IPL 10: Mumbai Indians beat Kolkata Knight Riders by 4 wickets
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 9, 2017 6:16 pm
  • Updated:July 11, 2018 11:01 am  

কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৭৮/৭ (মণীশ-৮১*, লিন৩২)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৮০/৬ (পার্থিব-৩০, রানা-৫০)
৪ উইকেটে জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস গড়ে প্রথম ম্যাচে জয়। সেই কারণেই কি আত্মবিশ্বাস অতিরিক্ত ছিল নাইট শিবিরে? প্রথম ম্যাচে পুণের কাছে পরাস্ত হওয়া রোহিত অ্যান্ড কোম্পানিকে কি প্রতিপক্ষ হিসেবে হালকাভাবে নিয়ে ফেলেছিলেন গৌতম গম্ভীররা? রবিবার ম্যাচ শেষে এসব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল কেকেআর ভক্তদের মনে।

Advertisement

রূদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে চলতি মরশুমে জয়ের খাতা খুলল মুম্বই। ডাগ-আউটে বসে থাকা গৌতম গম্ভীরের মুখটা তখন সংকুচিত। দুর্দান্ত জয়ের পর এই হারটা মেনে নেওয়াটা যেন ভীষণ কঠিন হচ্ছিল। উল্টোদিকে দিল্লির ছেলেকে হারিয়ে উচ্ছ্বসিত মুম্বইয়ে রোহিত। পাণ্ডিয়া চার মেরে ম্যাচ শেষ করতেই গ্যালারিতে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।

SANDY58462

প্রথম দিন গম্ভীর ও লিন মিলে যে রান করেছিলেন, এদিন সাতজন ব্যাটসম্যান মিলেও ২০ ওভারে সে রান তুলতে পারলেন না। ব্যাট হাতে উথাপ্পা, ইউসুফ পাঠান, সূর্যকুমার যাদবদের এটাই ছিল আইপিএল দশম মরশুমের প্রথম ম্যাচ। কারণ গত ম্যাচে তাঁদের ব্যাটিং করার প্রয়োজনই হয়নি। কিন্তু এদিন বাইশ গজে টিকতে পারলেন না তাঁরা। গুজরাটের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেরা ক্রিস লিন ৩২ রানে ফিরলেন। ৮৭ রানে চারটি মূল্যবান উইকেট খুইয়ে বেশ অসহায় দেখাচ্ছিল কলকাতার ব্যাটিং লাইন-আপকে। ঠিক তখনই ত্রাতার ভূমিকায় ধরা দিলেন মণীশ পাণ্ডে। ৪৭ বলে ৮১ রানে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে গভীর খাত থেকে তুলে আনলেন। নাহলে কেকেআর-এর স্কোরবোর্ড আরওই ফিকে লাগত। মণীশের পাশাপাশি তারকা খচিত দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিড়ে নজর কাড়লেন আরেক তরুণ তুর্কি। তিনি হার্দিক পাণ্ডিয়া। ব্যাট হাতেও ২৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।  তিনটি উইকেট তুলে তিনিই নাইটদের বিপাকে ফেলে দিয়েছিলেন। মালিঙ্গা ঝুলিতে ভরেন দুটি উইকেট।

9S6A8233

একে তো ঘরের মাঠ। তার উপর টসও জিতেছিলেন মুম্বই নেতা। পেসার ও স্পিনারদের ভাল পারফরম্যান্সের দৌলতে টার্গেটও খুব একটা আকাশছোঁয়া ছিল না। গ্যালারি থেকে লাগাতার উতসাহ দিয়ে গেলেন শচীন তেণ্ডুলকরও। এক কথায় পরিবেশ পরিস্থিতি সবই মুম্বইয়ের পক্ষেই ছিল।আর সেই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই বাজিমাত করলেন রোহিতরা। পার্থিব প্যাটেল শুরুটা মন্দ করেননি। কিন্তু বাটলার, রোহিত শর্মাকে ২৮ ও ২ রানে ফিরিয়ে মুম্বইকে খানিকটা চাপে ফেলে দিয়েছিলেন কেকেআর বোলাররা। তবে সব পার্থক্য গড়ে দিলেন আরেক আনকোড়া তরুণ। নিতীশ রানা। দলের অত্যন্ত প্রয়োজনে হাফ-সেঞ্চুরি করতে পারলে যে তার স্বাদ অনেক বেশি হয়, তা আজ নিশ্চয়ই অনুভব করবেন তিনি। বাকি কাজটা সারলেন পাণ্ডিয়া। তবে শেষ ওভারে মজুত ছিল আরও নাটক। এই ওভারে ক্যাচ ফেলা থেকে শুরু করে খারাপ ফিল্ডিং সবকিছু করে বসেন নাইটরা। আর কথায় আছে না, ‘ক্যাচ মিস মানেই ম্যাচ মিস’। তাই সবমিলিয়ে খালি হাতেই মুম্বই ছাড়তে হচ্ছে নাইটদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement