দিল্লি ডেয়ারডেভিলস: ১৬৮/৭ (সঞ্জু-৩৯, ঋষভ-৩৮)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৬৯/৬ (ইউসুফ-৫৯, মণীশ-৬৯*)
৪ উইকেটে জয়ী কেকেআর
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আমার দল নিয়ে আমি দারুণ খুশি৷” চলতি আইপিএল-এ চার ম্যাচে তিনটিতে জেতার পর এমন কথাই শোনা গিয়েছিলেন নেতা গৌতম গম্ভীরের মুখে৷ আর হবেন নাই বা কেন! দলের মধ্যে যেভাবে সুস্থ প্রতিযোগিতার একটা পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন গোতি, তাতে আখেরে লাভ হচ্ছে কলকাতারই৷ এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ ক্রিস লিন ৯৩ রানে অপরাজিত থাকলে, সুনীল নারিনের মধ্যেও জেগে ওঠে ব্যাটসম্যান সত্তা৷ আবার ওপেনার সুনীলকে ছাপিয়ে যাওয়ার তাগিদ বেড়ে যায় রবিন উথাপ্পার মধ্যেও৷ তবে সোমবারটা ছিল এক পুরনো সৈনিকের৷ পোড় খাওয়া ব্যাটসম্যান চার-ছয় হাঁকিয়ে অতীতে একাধিকবার দলকে জিতিয়েছেন৷ ফিরোজশা কোটলায় আজ কর্তৃত্ব চলল তাঁরই৷ তিনি ইউসুফ পাঠান৷ তাঁর বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারিগুলো যেন চিৎকার করে জানান দিল, আইপিএল দশেও তিনি স্বমহিমায় বিরাজমান৷ তবে শুধু পাঠান নন, মণীশ পাণ্ডে এমন অসাধারণ ইনিংস না খেললে কেকেআর-এর মধুরেণ সমাপয়েত হওয়া কঠিন ছিল৷ পাঠান-পাণ্ডে জুটির হাত ধরে টুর্নামেন্টের চার নম্বর জয় পকেটে পুরল কিং খানের দল৷
আইপিএল-এ টস জিতলেই সাধারণত বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠাচ্ছেন অধিনায়করা৷ কিন্তু জাহির খান তেমনটা করলেন না৷ দিনের আলোয় প্রথমে ব্যাটিং নেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিলেন৷ রান তাড়া করার চাপটা দিয়েছিলেন গম্ভীরদের উপরই৷ ব্যাট হাতে শুরুটাও মন্দ করেননি দিল্লি দলের দুই ওপেনার সঞ্জু স্যামসন(৩৯) এবং স্যাম বিলিংস (২১)৷ তবে নাথান নাইলের বোলিং ঝড়ে রানের পাহাড় তৈরি করতে পারেনি হোম ফেভরিটরা৷ একাই তিনটি উইকেট তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্টের পরিবর্ত পেসার৷ ২১ রানে করুণ নায়ার আউট হলে দলের হাল ধরেন ঋষভ পন্থ৷ ৩৮ রান করে দলকে অনেকটা এগিয়ে দেন তিনি৷ তবে টেল এন্ডারদের প্যাভিলিয়নে ফেরাতে বেশি সময় লাগেনি৷ একটি করে উইকেট পান ক্রিস ওকস, সুনীল নারিন এবং উমেশ যাদব৷
চোটের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন ক্রিস লিন৷ তার জায়গায় নাইট জার্সি গায়ে খেলছেন নিউজিল্যান্ডের গ্র্যান্ডহোম৷ এদিনও ওপেনিং স্লট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ছাড়লেন না নাইট নেতা৷ গ্র্যান্ডহোমকে সঙ্গে নিয়ে নামলেন ওপেন করতে৷ তবে কিউয়ি তারকা লিন বা নারিনের মতো চমক দেখাতে পারেননি৷ ১ রানেই ফেরেন তিনি৷ গত ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা উথাপ্পাও (৪) এদিন ব্যর্থ৷ অধিনায়ক আউট হন ১৪ রানে৷ আসলে আজ তো দিনটাই যে ছিল অন্য একজনের৷ ৩৯ বলে ৫৯ রানের দর্শনীয় ইনিংস খেলে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন তিনি৷ তাঁর অনবদ্য ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি চার ও ২টি ছয় দিয়ে৷ তবে পাঠানকে যোগ্য সঙ্গত দেন মণীশ পাণ্ডে৷ ৬৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি৷
এবারের আইপিএল-এ দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বোলিং লাইন আপ নিয়েই সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ছিলেন নাইট নেতা গৌতম গম্ভীর৷ দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়৷ অধিনায়ক জাহির খান৷ অর্থাৎ ৮০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতার বিরুদ্ধে ছিল লড়াই৷ তবে জাহির খান, ক্রিস মরিস, প্যাট কামিন্সদের বাধা অতিক্রম করে শেষ হাসি হাসলেন ঘরের ছেলেই৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.