স্কোর
ভারত ৩২৯ ও ৩৫২/৭ (ডি)
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস – ১৬১
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস – ৩১১/৯
জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন আর একটি উইকেট। ইংল্যান্ড এখনও পিছিয়ে ২০৯ রানে।
স্টাফ রিপোর্টার: ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে জয়ের দোরগোড়ায় ভারত। বুমরার আগুন গতিতে কুপোকাত ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপ। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৯ উইকেটে ৩১১। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন আর ১টি উইকেট।
লাঞ্চ পরবর্তী সেশনে তখন একটার পর একটা ভারতীয় বোলার আসছেন। কোহলি বারবার পাল্টাচ্ছেন কম্বিনেশন। কিন্তু নিটফল শূন্য। বাটলার আর স্টোকসের পার্টনারশিপ ভাঙতে পারলেন না কেউ। সেশন শেষে (চা বিরতিতে) ইংল্যান্ড ১৭৩-৪। অধিনায়ক জো রুট ড্রেসিংরুমের বাইরে ব্যালকনিতে বসে হাততালি দিচ্ছেন। তাঁর ভঙ্গিতেই পরিষ্কার, সেশন শেষে ম্যাচে টিকে থেকে সামান্য হলেও ভারতের ওপর মানসিক চাপটা বাড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড।
কিন্তু হল না। চা বিরতির পর মাত্র কয়েক ওভার লাগল ভারতকে ম্যাচে ফিরতে। জসপ্রীত বুমরার বিধ্বংসী বোলিংয়ের সৌজন্যে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ইংল্যান্ড ব্যাটিং। এবং সেটা হল, ওঁর দশ বলের মধ্যে। তিন উইকেট নিয়ে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিল। আর এই সাফল্য ক্যাপ্টেন কোহলির চিন্তামগ্ন মুখে হাসি ফিরিয়ে আনল। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সতীর্থদের হাততালিতেই মাঠ ছাড়লেন তিনি। কোহলির ব্যাটিং যেখানে মঞ্চ তৈরি করেছিল। সেখানেই বুমরার বোলিং ভারতকে দাঁড় করিয়ে দিল তৃতীয় টেস্ট জয়ের দোরগোড়ায়।
ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনে বাজিমাত করলেন বুমরা। বুমরার এই স্বপ্নের বোলিংয়ের পিছনে রহস্য কী? ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরের মতে বুমরার এত সুন্দর স্পেলের পিছনে একটাই কারণ আগুনে পেস। “একজন ফাস্ট বোলার বলতে আমরা যা বুঝি শেষ সেশনে সেটাই দেখলাম বুমরার মধ্যে। কমপ্লিট পারফরম্যান্স। বুমরার বড় গুণ ওর আগুনে পেস। ভয়ঙ্কর গতিতে বলটা করে। বাটলারের উইকেটটা নিয়ে ইংল্যান্ডের ছন্দটা নষ্ট করে দিল। কারণ স্টোকস আর বাটলারের পার্টনারশিপ ভাঙাটাই চ্যালেঞ্জ ছিল শেষ সেশনে,” বলছেন গাভাসকর।
গতির সঙ্গে সঠিক লাইন আর লেংথও বুমরার সাফল্যের অন্যতম কারণ। গাভাসকর বলছেন, “এত গতিতেও সঠিক লাইনে বলটা রাখে বুমরা। এদিন ওর মুভমেন্টও সঠিক ছিল। বল পড়ে কোন দিকে যাবে তা আগে বোঝা যায় না। সেটাই বুমরার গুণ।” ট্রেন্ট ব্রিজে বুমরা কেন্দ্রিয় চরিত্র ছিলেন। কিন্তু বাকি ভারতীয় বোলারদের পারফরম্যান্সেও খুশি গাভাসকর। বলছেন, “সামি, হার্দিক, অশ্বিনরাও ভাল বল করেছে। লাঞ্চের পর প্ল্যানিংয়ে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ সেশনে ভারতের বোলিং দেখে আমি সন্তুষ্ট।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.