Advertisement
Advertisement

Breaking News

অলিম্পিকে সোনাজয়ী, তবু ন্যূনতম সম্মান নেই বধির অ্যাথলিটদের

বিশ্বমঞ্চে সাফল্যের পরও বঞ্চিত তাঁরা...

Indian Deaflympics team upset with govt apathy, refuse to leave airport
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 1, 2017 7:21 am
  • Updated:August 1, 2017 7:21 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁরাও বিশ্বমঞ্চে লড়াই করেছেন। পদক জিতেছেন। দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। পিভি সিন্ধু, সাক্ষী মালিকদের থেকে তাঁদের কৃতিত্বও কোনও অংশে কম নয়। বরং তাঁদের সফল অ্যাথলিট হয়ে ওঠার পথে বাধা-বিঘ্ন হয়তো আরও বেশি ছিল। উপেক্ষা, অবহেলা, তাঁদের প্রতি উদাসীনতাকে মানিয়ে নিয়েই এগিয়ে গিয়েছেন। অথচ বিশ্বমঞ্চে বড়সড় সাফল্যের পরও নিজেদের ন্যূনতম সম্মানটুকু পেলেন না তাঁরা। বধির-অলিম্পিক থেকে পদক জিতে দেশে ফেরা অ্যাথলিটদের সংবর্ধনা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন না কেউ।

[সমাজের পুরুষদের জন্য এই বার্তাই দিলেন বিরাট]

তুরস্কের স্যামসাং-এ বসেছিল ২৩তম বধির-অলিম্পিকের আসর। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন ৪৬ জন ভারতীয় অ্যাথলিট। সেই মঞ্চে মোট চারটি পদক ঘরে তুলেছে ভারত। যার মধ্যে রয়েছে একটি সোনাও। প্রথমবার বধির-অলিম্পিকে এমন সাফল্য পেয়েছে এই দেশ। সেই ৪৬ জন অ্যাথলিট এবং স্টাফরাই মঙ্গলবার সকালে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। কিন্তু সেখানে তাঁদের স্বাগত জানানোর জন্য সমর্থকদের উপস্থিতি তো দূর অস্ত, ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফেও কেউ হাজির ছিলেন না। আর তাতেই অত্যন্ত হতাশ ও ক্ষুব্ধ অ্যাথলিটরা। ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়রা কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গোয়েলের সঙ্গে কথা না বলে বিমানবন্দর ছাড়তে চাননি। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। বধির অ্যাথলিটদের আওয়াজ ক্রীড়ামন্ত্রীর কানে গিয়ে পৌঁছয়নি। দলের ম্যানেজার কেতান শাহ বলেন, “বধির-অলিম্পিকে মোট আটটি বিভাগে অংশ নিয়েছিলেন এই প্রতিযোগীরা। আটটির মধ্যে মোট তিন বিভাগে পদক জিতেছেন তাঁরা। কুস্তিতে সোনা ও ব্রোঞ্জ, টেনিসে ব্রোঞ্জ এবং গলফে রুপো ঝুলিতে
ভরেছেন অ্যাথলিটরা। নিঃসন্দেহে এঁরা দেশকে গর্বিত করেছেন। কিন্তু তার কোনও মূল্যই এঁরা পেলেন না। ক্রীড়ামন্ত্রককে আগে থেকেই জানানো ছিল, মঙ্গলবার আমাদের দেশে ফেরার কথা। যদিও তাদের তরফে কোনও উত্তর মেলেনি। বিমানবন্দরে ন্যূনতম সংবর্ধনা দিতে হাজির হলেন না ক্রীড়ামন্ত্রকের কোনও আধিকারিক। যোগাযোগ করলে জানিয়ে দেওয়া হয়, সকলেই ব্যস্ত।”

Advertisement

[‘মা চিনের মহিলা বলেই কি মোদি বিরোধিতা করেন?’ প্রশ্নের মুখে জোয়ালা]

ক্রীড়ামন্ত্রী বা মন্ত্রক এভাবে মুখ ফিরিয়ে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই মনোবল ভেঙে যায় অ্যাথলিটদের। ভাল পারফর্ম করেও জোটে না কোনও প্রশংসা। প্রশ্ন উঠছে, শারীরিক প্রতিবন্ধতকা সত্ত্বেও লড়াই করে এই অ্যাথলিটরা যে সাফল্য পাচ্ছেন, তাঁরা কি এভাবেই বঞ্চিত হবেন? ফের দেশের মুখ উজ্জ্বল করার উৎসাহ পাবেন?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement