ইংল্যান্ড: ৫৩৭
ভারত: ৩১৯/৪ (বিজয়-১২৬, পূজারা-১২৪)
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্যালারিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন পুজা পূজারা৷ ঘরের ছেলে প্রথমবার ঘরের মাঠে টেস্ট খেলতে নেমেছে৷ তাই ছেলের খেলা দেখতে মাঠে এসেছিলেন বাবা অরবিন্দ পূজারাও৷ সিঙ্গল নিয়ে শতরান পূরণ হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল গ্যালারি৷ লাফিয়ে উঠল চেতেশ্বর পূজারার পরিবারও৷ আনন্দে আত্মহারা স্ত্রী পুজা৷ ছেলের নবম টেস্ট সেঞ্চুরি প্রাণ খুলে উপভোগ করলেন বাবাও৷
পূজারার সেঞ্চুরি দেখার জন্য অপেক্ষার পারদ ক্রমেই চড়ছিল৷ কিন্তু স্কোরবোর্ডে সহজে দেখা মিলছিল না তিন সংখ্যার ম্যাজিক ফিগারের৷ ৮৬ রানে তো তিনি আউটই হয়ে গেলেন৷ কিন্তু ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের সৌজন্যে লাইফ লাইন পেয়ে যান তিনি৷ ৯৯ রানে ফের বাধা৷ এবার চায়ের বিরতি৷ অর্থাৎ চেতেশ্বরের সেঞ্চুরি দেখতে অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হয়৷ বিরতির পর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ৷ ১২৪ রানের লম্বা ইনিংস খেলে দলকে স্বস্তিজনক জায়গায় পৌঁছে দিলেন তিনি৷ তবে শুধু পূজারা নন, গম্ভীর (২৯) ফিরে গেলেও তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন মুরলী বিজয়৷ চোট পাওয়া শিখর ধাওয়ান না থাকাতেই মূলত দলে খেলার সুযোগ এসে গিয়েছিল৷ টেস্টে সপ্তম শতরান করে নির্বাচকদের ভরসার মান রাখলেন তিনি৷ ২০১০ সালে থেকে টেস্টে কোনও জুটিকে ২০৯ রানের লম্বা পার্টনারশিপ গড়তে দেখা যায়নি৷
এ যেন অনেকটা ইটের জবাব পাটকেলে৷ ইংল্যান্ডের তিন ব্যাটসম্যান জো রুট, মঈন আলি এবং বেন স্টোকস সেঞ্চুরি হাঁকানোয় বিরাটদের সামনে রানের পাহাড় তৈরি হয়েছিল৷ তার উত্তরে তৃতীয় দিন ভারতীয় স্কোর বোর্ডেও জ্বলজ্বল করছে জোড়া সেঞ্চুরি৷ দিনের শেষে ক্রিজে রইলেন ক্যাপ্টেন কোহলি (২৬)৷ দু’দিন ধরে বিরাটবাহিনীর কদর্য ফিল্ডিংয়ে ৫০০-র গণ্ডি পেরোতে কুকদের বিশেষ অসুবিধা হয়নি৷ এবার সেই ক্ষতে প্রলেপ দিচ্ছেন পূজারারা৷ শেষরক্ষা হয় কি না, এখন সেটাই দেখার৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.