ভারত-৬
(জেজে ২, পাসি, সন্দেশ, রফিক, কারডোজা)
লাওস-১
(সিহাভঙ)
দীপক পাত্র: সকালই বলে দেয় সারাদিন কেমন যাবে৷ সবসময় এটা হয় না৷ এদিন যেমন হল না গুয়াহাটিতে৷
শুরুতে পাহাড় প্রমাণ চাপ৷ হাঁসফাঁস অবস্থায় ক্রমশ বেড়ে চললো সংশয়৷ তীরে এসে তরী ডোবার অবস্থা ভারতের৷ শেষ পর্যন্ত ফস্কে যাবে না তো পরের রাউন্ডের টিকিট! অথচ সেই দলই কিনা ম্যাচের শেষে গোলের মালা পরিয়ে লাওসকে এবারের মতো বিদায় জানালো! একদা অস্ট্রেলিয়া (৭-১), মালয়েশিয়া (৬-০), কম্বোডিয়া (৬-০)-কে এই পর্যায়ে হারানোর রেকর্ড ছিল ভারতের৷ আবার নতুন করে ৬-১ গোলে জিতে সেই রেকর্ডকে মনে করিয়ে দিলেন জেজে, রফিকরা৷ বুঝিয়ে দিলেন, ফিফার ব়্যাঙ্কিং যাইহোক, লাওসকে হারানো ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা৷ প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয়ের সুবাদে দুই পর্ব মিলিয়ে ভারত ৭-১ ব্যবধানে জিতে এশিয়া কাপের প্রথম পর্বের বাধা পেরিয়ে গেল অনায়াসে৷ ঢুকে পড়ল এশিয়ান কাপের মূল পর্বে যাওয়ার লড়াইয়ে ২৪টি দেশের মধ্যে৷
বছরটা যেন হয়ে থাকল জেজের৷ ক্লাব কিংবা দেশ, সবেতেই এবার চুড়ান্ত সফল মিজো ফুটবলারটি৷ জেজের গোল মোহনবাগানকে এনে দিয়েছিল দেশের অন্যতম সেরা ক্লাব ট্রফি, ফেডারেশন কাপ৷ এবার জাতীয় দলকেও যেন টেনে তুললেন৷ শুরুতে পিছিয়ে পড়ে ভারত তখন চাপের মধ্যে৷ লাওসের রক্ষণ হয়ে উঠেছে দুর্ভেদ্য৷ ঠিক সেই সময় একটা ছোট্ট পরিবর্তন করলেন ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন৷ উদান্তের জায়গায় নিয়ে এলেন জ্যাকিচাঁদকে৷ আর জ্যাকি নেমেই দুই প্রান্ত থেকে উঠে গিয়ে দুটো ক্রস বাড়ালেন৷ তাতেই লাওসের রক্ষণ কেঁপে উঠল৷ প্রথম পাসে গোল করলেন জেজে৷ গোল তো শুধু নয়, যেন নিয়ে এলেন এক সিলিন্ডার অক্সিজেন৷ ওই গোলের ঠিক মিনিট দুয়েক পরেই তিন ডিফেন্ডারকে পিছনে ফেলে যে বল বাড়ালেন তাতে সুমিত পাসির কাজ ছিল স্রেফ গোলে বল ঠেলা৷ বিরতির আগে এই দুটো গোলে লাওসের যাবতীয় বাধার প্রাচীর যেন ভেঙে চৌচির হয়ে গেল৷ মাঠ জুড়ে তারপর শুধুই নীল জার্সির দাপট৷ বিরতির ঠিক পরেই সন্দেশের গোল৷ বিরতির পর খেলা শুরু হওয়ার মুখেই৷ জেজে, রফিক, কারডোজোদের তখন যেন গোলের বান ডেকেছে৷ আর ভেসে যাচ্ছে লাওস৷
আসলে এই জয় ভারতের সম্মান যতটা না বাড়িয়ে দিয়ে গেল তারচেয়ে বেশি স্বস্তি দিল স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.