সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি- ফিফা বিশ্বকাপে প্রথমবার ব্যবহৃত চলেছে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তবে, এই ভিএআর পদ্ধতি নিয়ে সংশয়ে বেশ কিছু কোচ ও ফুটবলার। ঠিক কীভাবে কাজ করবে এই পদ্ধতি, আদৌ তাতে ফুটবলের কোনও উপকার হবে তো? চলুন দেখে নেওয়া যাক ঠিক কী এই ভিএআর, এবং কীভাবেই বা কাজ করবে এটি।
ভিএআর কী?
ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি। রেফারি টিমের পঞ্চম সদস্য। যে সব সময় ম্যাচ রেফারির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। ভিডিও অ্যানালিস্টকে সাহা়য্য করতে থাকবে আরও একজন। দরকার পড়লে দু’জন রিপ্লে অপারেটরকে রাখা হবে। অনেকটা ক্রিকেটের থার্ড আম্পায়ারের মত।
কখন নেওয়া যাবে?
এখানেই আসল টুইস্ট। ভিএআর কেউ নিতে পারবে না। ভিডিও অ্যানালিস্ট ঠিক করবেন রেফারির কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশয় আছে কি না। সে রকম মনে হলে রেফারিকে ভিডিও অ্যানালিস্ট জানাবেন তিনি সিদ্ধান্তটা রিভিউ করতে চান। অর্থাৎ ভিএআর কখন ব্যাবহার করা হবে তাতে কোনও দলের কোনও হাত নেই।
কীভাবে সিদ্ধান্ত?
মাঠের প্রতিটা ক্যামেরার অ্যাঙ্গল থেকে ফুটেজটা দেখতে পাবেন ভিডিও অ্যানালিস্ট। অফসাইডে গোল দেওয়া হল বা ভুল লোককে লাল কার্ড দেওয়া হলে তখন রেফারিকে জানিয়ে দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত পালটাতে। আর যদি কেউ বক্সের মধ্যে ইচ্ছাকৃত ঝাঁপায় বা প্লে অ্যাক্টিং করে পেনাল্টি আদায় করতে তখন পিচ সাইড মনিটরে সেই ফুটেজ রেফারিকে দেখানো হবে যাতে তাঁর মতামতও নেওয়া যায়।
কখন সিদ্ধান্ত?
অনেকে মনে করছেন যে খেলা চলাকালীন বারবার ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি হস্তক্ষেপ করলে ছন্দ হারাতে পারে ম্যাচ। সেজন্য নিয়ম করা হয়েছে খেলা চলাকালীন কোনও ভিএআর সিদ্ধান্ত জানানো হবে না। খেলা চলাকালীন ভিএআর সিদ্ধান্ত রিভিউ করতে পারে। কিন্তু রিভিউ করে কী দাঁড়াচ্ছে সেটা থ্রো ইন বা কর্নারে বল মাঠের বাইরে বেরোলে তবেই জানাবেন পঞ্চম রেফারি।
কখন প্রযোজ্য?
গোল, লাল কার্ড আর পেনাল্টি। এই কয়েকটা ক্ষেত্রেই ভিএআর সাহায্য করতে পারে।
ফিফায় প্রথম ব্যবহার?
এর আগে ফিফা কনফেডারেশন কাপে সফলভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল ভিএআর। আয়োজকদের আশা বিশ্বকাপেও সফল হবে অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.