Advertisement
Advertisement

Breaking News

মোহনবাগানের সিদ্ধান্তে হতাশ আইএফএ সচিব

বুধবার মোহনবাগান কার্যকরি সমিতি সিদ্ধান্ত নেয় যে টিভি স্বত্ত্ব না পেলে লিগে বড় ম্যাচ খেলবে না৷

IFA is disappointed with mohunbagan's decision
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 17, 2016 4:41 pm
  • Updated:November 19, 2021 3:23 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: মোহনবাগানের সিদ্ধান্তে রীতিমতো হতাশ আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়৷ তবে দাবি মেনে নেওয়ার রাস্তায় আপাতত নেই তিনি৷ মোহনবাগান থেকে এখনও কোনও চিঠি পাননি৷ পেলে সম্ভবত আলোচনায় বসবেন মোহন-কর্তাদের সঙ্গে৷
বুধবার মোহনবাগান কার্যকরি সমিতি সিদ্ধান্ত নেয় যে টিভি স্বত্ত্ব না পেলে লিগে বড় ম্যাচ খেলবে না৷ সকালেই স্টার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সংবাদপত্রের কাটিং-সহ আইএফএ সচিবকে চিঠি দিয়ে জানতে চায়, আসন্ন লিগে ঠিক কী হতে চলেছে৷ এই খবর জানিয়ে সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “খুব হতাশ লাগছে এই ভেবে যে, আমার অ্যাফিলিয়েটেড ক্লাব আমাকে সরাসরি না জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমে জানাচ্ছে৷ মোহনবাগানের সঙ্গে আইএফএর সম্পর্কটা এতটা তিক্ত হয়নি যে, আমার সঙ্গে আলোচনা করা যেত না৷”
টিভি স্বত্তেবর দাবি নতুন নয়৷ একই দাবি জানিয়ে এসেছে ইস্টবেঙ্গলও৷ উৎপলবাবু বললেন, “এনিয়ে আইএফএ-র সঙ্গে আগেও আলোচনা হয়েছে৷ কিন্তু কখনওই কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি৷ ওদেরও বোঝা উচিত, আইএফএ কীভাবে আর্থিক সমস্যা মোকাবিলা করছে৷” এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মোহনবাগানের অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “টিভি স্বত্ত্ব নিয়ে প্রতিবছরই আমাদের কথা হয়৷ প্রত্যেকবারই উৎপলবাবু বলেন, এবার ছেড়ে দাও, পরের বার দেখা যাবে৷ সেই পরের বার আর আসে না৷ দিনের পর দিন এভাবে চলবে না৷”
আইএফএর আর্থিক দুর্দশার কথা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “বড় ম্যাচ হওয়ার পরেও আইএফএ-র কাছে স্পনসররা লাফিয়ে চলে আসছে না৷ আমার নিজের ব্যবসা থেকে ৩ কোটি টাকা দিয়ে লিগের টাইটেল স্পনসর ঠিক করতে হয়েছে৷ আর স্টার যে টিভি পার্টনার হিসেবে চুক্তি করেছে, সেখানেও আমার অনেকটাই দায়বদ্ধতা রয়েছে৷ ওরা যে পরিমাণ টাকা স্পনসর হিসেবে আমাদের দেবে, তার অনেকটাই আমাকে ব্যাক্তিগত ভাবে ম্যাচ চলাকালীন বিজ্ঞাপন হিসেবে তুলে দেওয়ার কথা দিতে হয়েছে৷ আমার ব্যাক্তিগত ক্ষমতা এবং দায়বদ্ধতার জন্যই স্পনসর পাচ্ছি৷”
লিগের বড় ম্যাচ থেকে আইএফএ যে ভাল টাকা পায়, তা স্বীকার করে নিয়ে উৎপলবাবু বললেন, “মোহনবাগানের হোম ম্যাচ থেকে আমরা দশ পয়সাও পাই না৷ যাবতীয় আয় সেই একটা ম্যাচ থেকে৷ কিন্ত্ত এই একটা ম্যাচের উপর নির্ভর করে নার্সারি, অনূর্ধ্ব-১৪, ১৯ এমনকী জেলা ফুটবলের খরচও চালানো হয়৷ আইএফএর যদি সত্যিই সেরকম আর্থিক সঙ্গতি থাকত, তাহলে নিশ্চয়ই আমরাও মোহনবাগানের সমস্যাটা দেখতাম৷ তা ছাড়া ওরাও জানে, এই মুহূর্তে কী স্পনসর সঙ্কট!”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement