সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের হতাশা থেকে এখনও বেরতে পারেননি ভারতীয় সমর্থকরা। চোখে জল নিয়ে রান আউট হয়ে ধোনির প্যাভিলিয়নে ফেরার সেই দৃশ্য এখনও দেশবাসীর মনে কাঁটার মতো বিঁধছে। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরই কপিল দেব থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা প্রশ্ন তুলেছিলেন দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। ৫ রানে যখন তিন উইকেটে খুইয়ে রীতিমতো চাপে টি ইন্ডিয়া, তখন কেন সাত নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হল মহেন্দ্র সিং ধোনিকে? কেন চার নম্বরে নামলেন ঋষভ পন্থ? কেন হার্দিক বা কার্তিকের আগেও ধোনিকে নিয়ে আসা হল না? অবশেষে লাখ টাকার এই প্রশ্নের উত্তর মিলল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গেল, এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে আসলে কে ছিলেন।
‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কোচ রবি শাস্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কেন ধোনিকে সাত নম্বরে পাঠানো হল? উত্তরে শাস্ত্রী বলেন, “তাহলে কখন পাঠাতাম? ওকে আগে পাঠালে তো খেলা অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত। বল তখন এতটা সুইং করছিল। সিম করছিল। ধোনি যদি প্রথম চার উইকেটের মধ্যে চলে যেত, তাহলে শেষ দিকে এই প্রায় জিতে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হত না।” হার্দিকের বদলে অন্তত ছয় নম্বরেও কি নামানো যেত না তাঁকে? কোচের সাফাই, “তখন স্যান্টনার বল করছিল। আমরা ধোনিকে ঠিক সেই সময় পাঠাতে চেয়েছি যখন ও নিজে সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ। প্রায় তো করেও দিয়েছিল। জাদেজা যদি আর ছ’টা বল থাকত ম্যাচ বদলে যেত।” সেমিফাইনালে হারের পর সাংবাদিক বৈঠকে ধোনিকে ব্যাটিং অর্ডারের এতখানি নিচে রাখার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। তিনি বলেছিলেন, “আমরা জানতাম, পরিস্থিতি কঠিন হয়ে গেলে ধোনি সামলে নেবে। সেই ভূমিকাতেই রাখা হয়েছিল ওকে।” স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট সমর্থক তথা ক্রিকেট মহল ধরে নিয়েছিল, কোহলি বা শাস্ত্রীই হয়তো ধোনিকে সাতে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু পিটিআই ফাঁস করল অন্য তথ্য।
সংবাদ সংস্থার সূত্রে খবর, কোহলি বা শাস্ত্রী নয়, ভারতীয় দলের সহকারী কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার নাকি ধোনির ব্যাটিং স্লট ঠিক করেছিলেন। তিনিই ধোনিকে সাতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন। যা পরে সমর্থন করেন অধিনায়ক ও কোচ। বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট প্রশাসনিক কমিটির (সিওএ) সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করা হতে পারে বলে খবর। শাস্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হতে পারে, কেন এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন তিনি।
তবে সেই বৈঠকের জন্য আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে বোর্ডকে। কারণ, ভারতীয় দলের কোনও সদস্যই ১৫ জুলাইয়ের আগে দেশে ফিরতে পারবেন না। বিশ্বকাপ থেকে হঠাৎ ছিটকে যাওয়ার পর নাকি ফেরার টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারেনি বিসিসিআই। অগত্যা ১৪ জুলাই অর্থাৎ বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত ম্যাঞ্চেস্টারেই থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। তারপর অনেকে দেশে ফিরবেন। কয়েকজন থেকেও যেতে পারেন। আবার কয়েকজন ১৫ দিনের বিরতিতে ছুটি কাটাতে চলে যেতে পারেন অন্যত্র।
এদিকে, আইসিসি ধোনির রানআউট নিয়ে একটি বিশেষ ভিডিও পোস্ট করেছে। পোস্টটির সঙ্গে লেখা, ‘হাস্তা লা ভিস্তা ধোনি।’ অর্থাত গুডবাই, আবার দেখা হবে ধোনি। আইসিসির এহেন মন্তব্য ভালভাবে নেননি ভারতীয় সমর্থকরা অনেকের মতে, এমন স্পর্শকাতর একটি বিষয় নিয়ে আইসিসির এধরনের ঠাট্টা করা একেবারেই উচিত হয়নি।
Hasta la vista, Dhoni 🎯 #CWC19 pic.twitter.com/TWxbKULjCQ
— ICC (@ICC) July 10, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.