ইংল্যান্ড: ৩৮৬/৬ (রয়-১৫৩, বাটলার-৬৪)
বাংলাদেশ: ২৮০ (শাকিব-১২১, মুশফিকুর-৪৪)
১০৬ রানে জয়ী ইংল্যান্ড
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফ্ল্যাশব্যাক ২০১৫ বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল ইংলিশবাহিনী। তারপর টেমস দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। কাট টু ২০১৯। চলতি বিশ্বকাপের ফেভরিট ইয়ন মর্গ্যান অ্যান্ড কোং। আর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে সেই পুরনো শত্রু বাংলাদেশকে পরাস্ত করে জয়ের সরণিতে ফিরল ইংল্যান্ড। প্রতিশোধের বৃত্ত যেন সম্পূর্ণ হল।
গত ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবে হার ভিতর থেকে যেন নাড়িয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। হতাশ হওয়ার পরিবর্তে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই শনিবার মাঠে নেমেছিলেন মর্গ্যানরা। এদিন কার্ডিফে বাংলাদেশি সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু হাজার হোক, ইংল্যান্ড খেলছে ঘরের মাঠে। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে এদিন ছিল মারকাটারি মনোভাব। জয়ে ফেরা ছাড়া আর কিছুই ছিল না ইংলিশ তারকাদের মস্তিষ্কে। স্কোরবোর্ডেই মিলল তার প্রমাণ। কথায় বলে, মর্নিং শোজ দ্য ডে। ব্যাট হাতে জেসন রয় যেভাবে শুরু করলেন, তাতেই ম্যাচের ভাগ্য একপ্রকার নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। অনবদ্য ১৫৩ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই পাহাড় প্রমাণ রানে পৌঁছে গেল দল। তবে এদিন তিনি যেভাবে তাঁর সেঞ্চুরি সেলিব্রেট করলেন, সেটাই ছিল চর্চার বিষয়। শতরান করার পরই আনন্দে আম্পায়ারের দিকে ছুটে আসেন তিনি। আর তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান জোয়েল উইলসন। বিষয়টি বুঝতে পেরে নিজেই আম্পায়ারকে টেনে তোলেন রয়। ইংল্যান্ডের আরেক ওপেনার বেয়ারস্টোও ৫১ রান করে যোগ্য সঙ্গ দেন রয়ের। আর বাকি কাজটা করেন বাটলার। তবে শাকিব আল হাসানের জন্য বাংলাদেশি সমর্থকদের মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। দুর্দান্ত ইনিংস খেলেও দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দিতে পারলেন না তিনি।
এদিন অবশ্য খেলার মাঝেই আরও একটি বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকলেন দর্শকরা। একই বলে আউট হলেন ব্যাটসম্যান, আবার ছক্কাও হল। কীভাবে? ইংল্যান্ড পেসার হোফ্রা আর্চারের একটি ডেলিভারিতে শট নেওয়ার চেষ্টা করেন বাংলাদেশি ওপেনার সৌম্য সরকার। কিন্তু বল সোজা গিয়ে লাগে উইকেটে। আর তারপরই বাউন্স করে চলে যায় একেবারে বাউন্ডারির বাইরে। মাত্র দুরানেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় সৌম্যকে। ব্যর্থ আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও। শাকিব ও মুশফিকুর ছাড়া ইংল্যান্ডের ঝোড়ো বোলিংয়ের সামনে আর কেউই টিকতে পারেননি। আর্চার একাই তিনটি উইকেট তুলে নেন।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করলেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন মোর্তাজারা। তারপরই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছিল কঠিন লড়াই। কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপের সুখস্মৃতি ফেরাতে ব্যর্থ হল বাংলাদেশ। ফলে টুর্নামেন্টের শেষ চারে পৌঁছনো আরও খানিকটা কঠিন হয়ে পড়ল তাদের কাছে। অন্যদিকে ‘ফেভরিট’ হিসেবে আরও খানিকটা এগোল ইংল্যান্ড।
@JofraArcher hits the stumps and what happened after that was completely UNBELIEVABLE! @ECB_cricket @englandcricket pic.twitter.com/JcdLFgibyC
— Shantha Prasad (@ShanthaPrasad) June 8, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.