Advertisement
Advertisement

Breaking News

নাটকীয় ম্যাচে ত্রাতা সেই শিলটন, চেন্নাইয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল মোহনবাগান

লাল কার্ড দেখে মেজাজ হারিয়ে মোহনবাগান কর্তাদের দিকে তেড়ে গেলেন এডউইন।

I League: Mohun Bagan, Chennai City match ends in a draw
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 7, 2018 7:37 pm
  • Updated:February 7, 2018 8:22 pm  

মোহনবাগান: ০

চেন্নাই সিটি এফসি: ০

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আই লিগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চেন্নাই সিটি এফসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল মোহনবাগান। দু’পক্ষই বেশ কিছু সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে এই ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। তবে এদিন আগাগোড়া দাপটের সঙ্গে খেললেন কোচ শংকরলাল চক্রবর্তীর ছেলেরা। কিন্তু বেশ কয়েকটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন ডিকা, ওয়াটসন, আজহারউদ্দিনরা। পেনাল্টি পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন আক্রম।

[চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া মোহনবাগান]

ম্যাচের ৮০ মিনিটে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। বক্সের ভিতর ডিকাকে ফেলে দেন চেন্নাইয়ের তারিফ। পেনাল্টির সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন আক্রম। তাঁর শট আটকে দেন বদলি হিসাবে মাঠে ঢোকা গোলকিপার কবীর। রেফারির সিদ্ধান্তে অখুশি হয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকায় এডউইন ভানসপাল একটি হলুদ কার্ড দেখে, পরে লালকার্ড দেখেন। আর তারপরই মারমুখী হয়ে ওঠেন চেন্নাইয়ের ফুটবলারদের একাংশ। তাঁদের শান্ত করতে থাকেন অধিনায়ক সুসাই রাজ। কিন্তু কে কার কথা শোনে? চেন্নাইয়ের ফুটবলাররা তেড়ে যান মোহনবাগান কর্তাদের দিকে। অশ্লীল গালিগালাজেরও অভিযোগ ওঠে। বেশ কয়েক মিনিট খেলা বন্ধ থাকায় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পরও অতিরিক্ত ১২ মিনিট খেলা চলে। এডউইন চিৎকার করতে থাকেন, তাঁকে কেন লালকার্ড দেখানো হল? এর আগে তিনি কোনও হলুদ কার্ড দেখেননি। যে দেখেছে, সেই তারিফ দু’বার হলুদ কার্ড দেখেও কেন মাঠে রইল, সে নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

তবে ম্যাচের নায়ক কিন্তু মোহনবাগানের ঘরের ছেলে অধিনায়ক ও গোলকিপার শিলটন পাল। তাঁর গ্লাভস জোড়া বেশ কয়েকটি নিশ্চিত শট বাঁচিয়ে বাগানকে রক্ষা করল এদিন। ‘হিরো অফ দ্য ম্যাচ’ ওয়াকিম জুনিয়ারের নিশ্চিত কয়েকটি শট আটকে দেন মোহন অধিনায়ক। দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করে সবুজ মেরুন। ৬৩ মিনিটে পায়ে বল পেলেও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হন ডিকা। তাঁর জোরাল শট আটকে দেন চেন্নাইয়ের গোলকিপার পলজানেক। ৭৫ মিনিটে ফের দুর্দান্ত সেভ শিলটনের। বক্সের বাইরে থেকে মারা চেন্নাইয়ের জোয়াকিমের শট প্রায় উড়ে গিয়ে বাঁচান তিনি।


মাঠের অসমান বাউন্সের জন্য এদিন খেলা শুরুর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আজহার। বক্সের ভিতর বল পেয়েও সবুজ মেরুন উইঙ্গারের শট গোলপোস্টের উপর দিয়ে উড়ে যায়। এই গোলটি করতে পারলে প্রথমার্ধেই এক গোলে এগিয়ে যেতে পারত বাগান। প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটাই মাঠে দাপিয়ে খেলেন সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। ২৬ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত একটি সেভ করেন শিলটন। চেন্নাইয়ের রাকিতের নিচু ফ্রি কিকটি তিনি একক দক্ষতায় আটকে দেন। এর পর একাধিকবার সুযোগ পেলেও সেই সুযোগ গোল করতে ব্যর্থ হয় মোহনবাগান। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগে ফ্রি কিক পায় সবুজ মেরুন। কিন্তু গোলের মুখ সেবারও খোলেনি। এদিনের ফলাফলের পর খেতাব জয় আরও কঠিন হয়ে গেল মোহনবাগানের কাছে। আপাতত লিগ টেবিলে ইস্টবেঙ্গলের পিছনে চার নম্বরে বাগান। শীর্ষে থাকা মিনার্ভার (২৯) চেয়ে ৮ পয়েন্টে পিছিয়ে সবুজ মেরুনের সংগ্রহে ২১।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement