সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনূর্ধ্ব ১৮ আই লিগে মণিপুরের রেফারির বিরুদ্ধে বর্নবিদ্বেষমূলক এবং প্রানহানিকর মন্তব্য করে ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি কমিটির শাস্তির মুখে পড়েছেন মিনার্ভা কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজ। এক বছর ফুটবলের যাবতীয় কাজকর্ম থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে তাঁকে। আর এমন পরিস্থিতিতে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে এআইএফএফ-কে একহাত নিলেন রঞ্জিত বাজাজের স্ত্রী হিনা সিং।
একের পর এক টুইট করে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন হিনা সিং। ক্লাবের ডিরেক্টরের মন্তব্য, “এক মরশুমে চারটি ট্রফি জিতেছে মিনার্ভা। ছোট ক্লাবের এত সাফল্য যেন ফেডারেশনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তাই তাদের অন্যভাবে আটকানোর চেষ্টা করছে তারা। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে তোলা হয়েছে। মোটা অঙ্কের জরিমানা করে তাঁকে অপমান করা হয়েছে।”
When the powers that be can’t take the thought of @Minerva_AFC winning its fourth title this season and there are vested interests to disrupt the success of a small but compelling club which is shaking up their foundations, they find ingenious ways to put a spoke in your wheel
— Henna Singh (@Hennasing) May 14, 2018
Also when they currently owe us close to 70 lakhs, it only makes sense to fine us atleast an even 10 lakhs!
— Henna Singh (@Hennasing) May 14, 2018
গত মরসুমে আই লিগ চলাকালীন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ তুলে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন রঞ্জিত বাজাজ। যা নিয়ে সিবিআই-এর দ্বারস্থ হন ফেডারেশন কর্তারা। ফের তিনি বিতর্কে জড়ান শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব ১৮ আই লিগে মিনার্ভা-আইজলের প্লে-অফ ম্যাচে। যে ম্যাচে রেফারি ছিলেন মণিপুরের পিনখেমামে মাতো। ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি মির্নাভা ফুটবল ক্লাবের কর্ণধার. মণিপুরের রেফারির উদ্দেশ্যে তাঁর বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য, “চিঙ্কিস আইস।’’ এখানেই থেমে থাকেননি রঞ্জিত বাজাজ। খেলার শেষে রেফারিকে হুমকি দিয়ে বলেন, “আপনাকে শেষ করে দেব।” রঞ্জিত বাজাজের বিরুদ্ধে ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে রিপোর্ট জমা দেন ম্যাচ কমিশনার বিশ্বজিৎ মিত্র। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষমূলক এবং গালিগালাজ করার অভিযোগ আনা হয়। এরপরেই উষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন, বাজাজ এক বছর ভারতীয় ফুটবলের কোনও ব্যাপারে জড়িত থাকতে পারবেন না। সঙ্গে দশ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয় তাঁকে। সিদ্ধান্ত জানানোর দশ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা ফেডারেশনে জমা না দিলে যেদিন জরিমানা দেবেন, সেদিন থেকে এক বছর নির্বাসন ধরা হবে।
শাস্তির কথা শুনে রঞ্জিত বাজাজ অবশ্য এখনই ভেঙে পড়ছেন না। শুধু বললেন, “আমার দলে ৭-৮ জন মণিপুরি ফুটবলার আছে। তাহলে মণিপুরের রেফারির বিরুদ্ধে কেন আমি এমন মন্তব্য করব? তার বিরুদ্ধে আমার কোনও রাগ নেই। তাই বলে কি অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করব না?” শাস্তি কমাতে ফেডারেশনের অ্যাপিল কমিটির কাছে আবেদন করবেন কী না জিজ্ঞাসা করা হলে বললেন, “যদি ফেডারেশন আমার শাস্তি বহাল রাখে তাহলে ফিফার কোর্টে যাব। আমি শেষ দেখে ছাড়ব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.